নকলায় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা

ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে আশার আলো দেখছেন নকলার কৃষকরা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে ফসলের জমি ক্রমেই হারিয়ে ফেলছে তার প্রাকৃতিক শক্তি। এতে করে যেমন ফসল ফলাতে গিয়ে কৃষকদের বাড়তি রাসায়নিক সারের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে, তেমনি দিনের পর দিন বাড়ছে খরচ।

উপরে টিনের ছাউনি আর নিচে বেড়া দিয়ে তৈরি করা একটি ঘরের মধ্যে পাশাপাশি মাটির চাড়িতে ১৫ কেজি গবর সার ও ২০০ গ্রাম করে অস্ট্রেলিয়া জাতের কেঁচো দেওয়া আছে। কেঁচোগুলো গোবর খেয়ে ফেলে। এরপর তারা যে মল পরিত্যাগ করে, সেগুলোই পরের ১৫ দিনের মধ্যে ভার্মি কম্পোস্ট সারে পরিণত হয়। কৃষকদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও সরকারিভাবে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ায় এ উপজেলার কৃষিখাতে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য।

এই অবস্থায় জমির উর্বরতা ফিরিয়ে আনতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বিকল্প উপায় খুঁজতে গিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সারের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের। ফলে একদিকে যেমন কৃষিতে জৈব সারের ব্যবহার বেড়েছে। তেমনি কৃষকরা আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন। এ সার উৎপাদনে উপজেলার চন্দ্রকোনা, বাছুর আগলা, বানেশ্বর্দী, মোজার, চরকৈয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের শতাধীক কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন বলে জানালেন স্থানীয় কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস জানান, বর্তমানে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি ও বিক্রি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নকলায়। এটি তৈরি করেই বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন কৃষকরা। আবার ফসলে রাসায়নিক সারের ব্যবহারও কমে যাবে কয়েকগুন। এক সময় হয়তো এ উপজেলায় আর রাসায়নিক সারের প্রয়োজনই হবে না। যদি কৃষকদের মাঝে এটি সঠিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে শুধু ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করেই সব ধরনের ফসল উৎপাদন করতে পারবে।