ভারতের কাছে হেরে লিগ পর্বেই শেষ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : দ্বাদশ বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে খেলার আশা বেঁচে থাকবে বাংলাদেশের। এমন সমীকরণকে সাথে নিয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমে ২৮ রানে হেরে গেল টাইগাররা। ফলে লিগ পর্ব থেকেই এবারের বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে বাংলাদেশকে। আগামী ৫ জুলাই লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও সেমিতে উঠতে পারবে না মাশরাফির দল। অপরদিকে, এই ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললো বিরাট কোহলির দল। ৮ খেলায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে উঠলো ভারত। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তমস্থানে থাকলো বাংলাদেশ।

বার্মিংহামের এডজবাস্টনে ডু-অর-ডাই ম্যাচে টস ভাগ্যে জিততে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত ভারতের। ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশ বোলারদের দেখেশুনে খেলেন ভারতের দুই ওপেনার ইনফর্ম রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান তুলতে পারেন তারা। এসময় মাত্র ১টি করে চার-ছক্কা ছিলো রোহিত-রাহুলের। তাই রানের গতি বাড়ানোর পরিকল্পনায় ছিলেন তারা।

পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কার চেষ্টা করে ক্যাচ তুলে দিয়ে জীবন পান ভারতের রোহিত। পঞ্চম ওভারে বল হাতে আক্রমনে ছিলেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ঐ ওভারের চতুর্থ বলটি বাউন্স দিয়েছিলেন ফিজ। সাথে সাথে পুল করে দেন রোহিত। ঐ সময় মিডউইকেট ফিল্ডিং করছিলেন তামিম ইকবাল। বল আকাশে উড়ে যাওয়ায় ক্যাচের জন্য স্কয়ার লেগে দৌঁড়ে যান তামিম। বলের লাইনে গিয়ে বল দু’হাতে নিয়েও পরে ফেলে দেন তামিম। ফলে জীবন পান রোহিত।

জীবন পেলে কি করেন রোহিত, অতীতে রেকর্ড আছে। আজও অতীতের রেকর্ডকে ফিরিয়ে আনলেন তিনি। ৪৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। পরের ৫০ রান তুলতে আরও কম বল খেলেছেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। ৪৩ বল মোকাবেলা করে পরের হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। অর্থাৎ নিজের মুখোমুখি হওয়া ৯০তম বলে এবারের বিশ্বকাপে চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ নেন রোহিত। এসময় ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন রোহিত। ২১৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে আজ ২৬তম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় সেঞ্চুরির করলেন রোহিত।

সেঞ্চুরির পর আরও একটি বাউন্ডারি মেরে বিদায় নিতে হয় রোহিতকে। বাংলাদেশের মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকারের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৯২ বলে ১০৪ রান করেন রোহিত।

ছয় বোলার ব্যবহার করে ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গতে পারছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। বাধ্য হয়ে সপ্তম বোলার হিসেবে সৌম্যকে আক্রমনে এনে সাফল্য পান মাশরাফি। ৩০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৮০ রানে রোহিত-রাহুলের জুটি ভাঙ্গেন সৌম্য। এবারের বিশ্বকাপে, এমনকি বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের নয়া রেকর্ড গড়েন রোহিত-রাহুল।

রোহিতের ব্যাটিং তান্ডবে ঢাকা পড়েছিলো আরেক ওপেনার রাহুলের ব্যাটিং নৈপুন্য। দেখেশুনে খেলে রোহিতকে স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন তিনি। পরে দ্রুত রান তুলে ৫৭তম বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান রাহুল। রোহিতের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর থামতে হয় রাহুলকেও। বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেনে অফ-স্টাম্পের সামন্য বাইরের বলকে কাট করতে গিয়ে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন রাহুল। ডান-দিকে ঝাপিয়ে পড়ে দারুন এক ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম।

দলীয় ১৯৫ রানের দুই ওপেনারকে হারিয়েও নিশ্চিন্তে ছিলো ভারত। কারন বড় স্কোরের ভিত যে তারা পেয়ে গেছে। তবে এসময় চিন্তায় ছিলো বাংলাদেশ। ভারতের রানের লাগাম টেনে ধরার পরিকল্পনায় ছিলেন মাশরাাফি। তাই দলের প্রধান বোলারদের দিয়ে আক্রমন চালান তিনি। সেই পরিকল্পনা কাজে দেয়। ৩৯তম ওভারে ভারত শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় বলে ভারত অধিনায়ক কোহলিকে এবং চতুর্থ বলে হার্ডিক পান্ডিয়াকে তুলে নেন ফিজ। গেল পাঁচ ম্যাচে টানা হাফ-সেঞ্চুরি করা কোহলি এবার করেন ২৭ বলে ২৬ রান। তার ইনিংসে ৩টি দৃষ্টিনন্দন চার ছিলো। পান্ডিয়াকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মুস্তাফিজ। ২ বল মোকাবেলা করে আউট হন পান্ডিয়া। তাই দলীয় ২৩৭ রানেই চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত।

এ অবস্থায় ভারতকে আরও চাপে ফেলার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে বাংলাদেশ বোলারদের কাউন্টার অ্যাটাক করেন চার নম্বরে নামা ঋসভ পান্থ। চার-ছক্কায় টাইগার বোলারদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরান তিনি। তাই বড় সংগ্রহের পথেই হাটতে থাকে ভারত।

কিন্তু সাকিবের হাত ধরে দ্রুতই খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। ভারতের রানের চাকা দ্রুত ঘুড়ানো পান্থকে সাজঘরে ফেরত পাঠন সাকিব। এবারের আসরে সাকিবের এটি ১১তম উইকেট। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪১ বলে ৪৮ রান করেন পান্থ। ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ২৭৭ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেন পান্থ। তাই দলকে ৩শ রানের কোটা অতিক্রম করার দায়িত্ব পান ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও দিনেশ কার্তিক।

কিন্তু শেষদিকে বল হাতে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজ। কার্তিককে ৮ ও ধোনিকে ৩৫ রানে বিদায় দেন তিনি। ততক্ষণে ভারতের রান তিনশ পেরিয়ে যায়। তবে ফিজের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং-এ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৪ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত। কারন শেষ ওভারে ধোনি ও মোহাম্মদ সামিকে আউট করে ম্যাচে নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করেন মুস্তাফিজ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ ও ভারতের বিপক্ষে তৃতীয়বারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন ফিজ। তার বোলিং ফিগার ছিলো ১০ ওভার ১ মেডেন ৫৯ রান ৫ উইকেট। এছাড়াও বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন সাকিব-রুবেল-সৌম্য।

জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট ৩১৫ রান। সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই রান করতেই হবে টাইগারদের। হেরে গেলে বিদায়। তবে এই টার্গেটেও আশাহত ছিলো না বাংলাদেশ। কারন চলতি টুর্নামেন্টে ৩শতাধিক রান করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে টাইগারদের। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের টার্গেট পেয়েও ৮ উইকেটে ৩৩৩ রান করা ছিলো প্রশংসনীয়। তাই একই আসরে তিনবার তিনশ’র বেশি রান করা দলটি আত্মবিশ্বাসী থাকতেই পারে।

আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। প্রথম ৩ ওভারেই স্কোর বোর্ডে ১৬ রান জুড়ে ফেলেন তারা। চতুর্থ ওভারে রান না আসলেও, পরের ৫ ওভারে ২২ রান তুলেন তামিম-সৌম্য। তাই বাংলাদেশের শুরুটা ভালোর পথেই যাচ্ছিলো। কারন ৯ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৮ রান দুই ব্যাটসম্যানের উইকেটে সেট হয়ে যাবার নিশ্চয়তা।

কিন্তু নবম ওভারের তৃতীয় বলে ভারতের পেসার মোহাম্মদ সামির কাছে আত্মসমর্পন করেন তামিম। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সামির বলে বোল্ড হন তামিম। ৩টি চারে ৩১ বলে ২২ রান করেন চলতি আসরে মাত্র ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করা তামিম।

৩৯ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ক্রিজে আসেন ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অলরাউন্ডার সাকিব। দলের সেরা খেলোয়াড়কে পেয়ে যেন মারমুখী হয়ে উঠেন সৌম্য। এতে রানের গতি বাড়ে বাংলাদেশের। তাই বড় জুটি গড়ার ছক কষছিলেন সাকিব-সৌম্য। কিন্তু এই জুটির পথে বাঁধা হয়ে দাড়ান পান্ডিয়া। ৪টি চারে ৩৮ বলে ৩৩ রান করা সৌম্যকে থামান পান্ডিয়া। স্টাম্পের বেশ বাইরের বলকে কাট করতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে ভারতের অধিনায়ক কোহলিকে ক্যাচ দেন সৌম্য। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৪ বলে ৩৫ রান যোগ করেন সাকিব-সৌম্য।

৭৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। তাই ঘুড়ে দাড়ানোর জন্য বড় জুটির প্রত্যাশায় ছিলো টাইগাররা। সেই প্রত্যাশা আরও বেশি বেড়ে যায় যখন উইকেটে জুটি বাঁধেন সাকিব-মুশফিকুর রহিম। আস্কিং রেট বেড়ে যাওয়ায়, বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলার চেষ্টা করেন সাকিব-মুশফিক। তারপরও দলের স্কোর ২০তম ওভারে একশ স্পর্শ করে। নিজেদের জুটি বড় করার পথেই ছিলেন সাকিব-মুশফিক। কিন্তু ২৩তম ওভারের শেষ বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মুশফিক। ভারতের স্পিনার যুজবেন্দ্রা চাহালের শিকার হন মুশফিক। ৩টি বাউন্ডারিতে ২৩ বলে ২৪ রান করেন মুশফিক। এই জুটির কাছ থেকে ৪৭ বলে সমান ৪৭ রানই পায় বাংলাদেশ।

উপরের সারির তিন ব্যাটসম্যানকে হারালেও ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন সাকিব। তাই এবারের আসরে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৫৮তম বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন সাকিব। তাই সাকিবের আরও একটি বড় ইনিংস দেখার অপেক্ষায় ছিলো ক্রিকেটপ্রেমিরা। কারন সাকিবের উপরই নির্ভর করছিলো ম্যাচ জয়। সাথে অন্যপ্রান্ত দিয়ে কারও সপোর্ট।

সেই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন পাঁচ নম্বরে নামা লিটন। ৩০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পান্ডিয়াকে দারুন শটে একটি ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের মত মহাকাব্যিক ইনিংসের আশায় ছিলেন। কিন্তু এবার আর হলো না। সেই পান্ডিয়ার সামনে সর্বনাশ হয় লিটনের। পান্ডিয়ার দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ১টি ছক্কায় ২৪ বলে ২২ রান করেন তিনি। আগের তিন জুটির মত এবারও বড় জুটির সম্ভাবনা জাগিয়েও ব্যর্থ হন সাকিব-লিটন। ৪০ বলে ৪১ রান যোগ করেন তারা।

দলীয় ১৬২ রানে লিটনের বিদায়ের পর ১৭৯তে পৌছাতে আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেই দু’উইকেট হলো মোসাদ্দেক হোসেন ও সাকিবের। আর এখানেই ম্যাচ জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৬তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া সাকিব এবার থামেন ৬৪ রানে। তার ৭৪ বলের ইনিংসে ৬টি চার ছিলো। সাকিবকে বিদায় দেন পান্ডিয়া। আর মোসাদ্দেককে ৩ রানে বোল্ড করেন ভারতের পেসার বুমরাহ। মোসাদ্দেকের ব্যাটের ইনসাইডএজে বল লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে।

৩৩ দশমিক ৫ ওভারে ৬ উইকেট হারানোয় ম্যাচ জয় কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের জন্য। ৯৭ বলে ১৩৬ রান দরকার পড়ে টাইগারদের। তারপরও শেষ চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে মারমুখী হয়ে উঠেন তারা। এতে বাড়তে থাকে বাংলাদেশের রান। ২শ পেরিয়ে আড়াইশ’র কাছাকাছি দলীয় স্কোর নিয়ে যান সাব্বির-সাইফউদ্দিন। কিন্তু দলীয় ২৪৫ রানে সাব্বিরকে বোল্ড করে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে ভারতের বুমরাহ। ৫টি চারে ৩৬ বলে ৩৬ রান করেন সাব্বির।

সাব্বির ফিরে যাওয়ায় বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। তারপরও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু তার সেই আগলে রাখা শুধুমাত্র দলের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। লোয়ার-অর্ডারের অন্য তিন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে ২ ওভার বাকী রেখে ২৮৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তবে ৯টি চারে ৩৮ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন সাইফউদ্দিন। ভারতের বুমরাহ ৪টি ও পান্ডিয়া ৩টি উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ভারতের রোহিত।

স্কোর কার্ড :
ভারত ইনিংস :
রাহুল ক মুশফিকুর ব রুবেল ৭৭
রোহিত ক লিটন ব সৌম্য ১০৪
কোহলি ক রুবেল ব মুস্তাফিজুর ২৬
পান্থ ক মোসাদ্দেক ব সাকিব ৪৮
পান্ডিয়া ক সৌম্য ব মুস্তাফিজ ০
ধোনি ক সাকিব ব মুস্তাফিজ ৩৫
কার্তিক ক মোসাদ্দেক ব মুস্তাফিজ ৮
ভুবেনশ্বর রান আউট রান আউট (মুশফিক/মুস্তাফিজ) ২
সামি বোল্ড ব মুস্তাফিজুর ১
বুমরাহ অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-৬, নো-১, ও-৬) ১৩
মোট (৯ উইকেট, ৫০ ওভার) ৩১৪
উইকেট পতন : ১/১৮০ (রোহিত), ১/১৯৫ (রাহুল), ৩/২৩৭ (কোহলি), ৪/২৩৭ (পান্ডিয়া), ৫/২৭৭ (পান্থ), ৬/২৯৮ (কার্তিক), ৭/৩১১ (ধোনি), ৮/৩১৪ (ভুবেনশ্বর), ৯/৩১৪ (সামি)।
বাংলাদেশ বোলিং :
মাশরাফি : ৫-০-৩৬-০ (ও-১),
সাইফউদ্দিন : ৭-০-৫৯-০ (ও-১),
মুস্তাফিজুর : ১০-১-৫৯-৫ (ও-২, নো-১),
সাকিব : ১০-০-৪১-১ (ও-১),
মোসাদ্দেক : ৪-০-৩২-০ (ও-১),
রুবেল : ৮-০-৪৮-১,
সৌম্য : ৬-০-৩৩-১ (ও-১),
বাংলাদেশ ব্যাটিং :
তামিম বোল্ড ব সামি ২২
সৌম্য ক কোহলি ব পান্ডিয়া ৩৩
সাকিব ক কার্তিক ব পান্ডিয়া ৬৬
মুশফিক ক সামি ব চাহাল ২৪
লিটন ক কার্তিক ব পান্ডিয়া ২২
মোসাদ্দেক বোল্ড ব বুমরাহ ৩
সাব্বির বোল্ড ব বুমরাহ ৩৬
সাইফউদ্দিন অপরাজিত ৫১
মাশরাফি ক ধোনি ব ভুবেনশ্বর ৮
রুবেল বোল্ড ব বুমরাহ ৯
মুস্তাফিজুর বোল্ড ব বুমরাহ ০
অতিরিক্ত (বা-১, লে বা-১, ও-১০) ১২
মোট (অলআউট উইকেট, ৪৮ ওভার) ২৮৬
উইকেট পতন : ১/৩৯ (তামিম), ২/৭৪ (সৌম্য), ৩/১২১ (মুশফিক), ৪/১৬২ (লিটন), ৫/১৭৩ (মোসাদ্দেক), ৬/১৭৯ (সাকিব), ৭/২৪৫ (সাব্বির), ৮/২৫৭ (মাশরাফি), ৯/২৮৬ (রুবেল), ১০/২৮৬ (মুস্তাফিজ)।
ভারত বোলিং :
ভুবেনশ্বর : ৯-০-৫১-১ (ও-৩),
বুমরাহ : ১০-১-৫৫-৪ (ও-২),
সামি : ৯-০-৬৮-১ (ও-১),
চাহাল : ১০-০-৫০-১ (ও-২),
পান্ডিয়া : ১০-০-৬০-৩ (ও-২)।
ফল : ভারত ২৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রোহিত শর্মা (ভারত)।
সূত্র : বাসস