ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ জামালপুরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের মূল্যায়ন হবে : ডক্টর ছামিউল হক সিডসের উদ্যোগে হাত ধোয়া দিবসে বড়দের হাত ধোয়ার কৌশল শেখালো শিশুরা গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন তবুও বহাল তবিয়তে চরপাকেরদহ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নিজাম দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শেরপুরে কলেজ শিক্ষকদের কর্মবিরতি ‘এনসিপি শুধুমাত্র সিটের রাজনীতির জন্য কারো সাথে জোট করবে না’ মাদারগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ, ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা জিল বাংলা চিনি কলে আখচাষিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সরিষাবাড়ীতে খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

হামলায় গুরুতর আহত আব্দুল ছাত্তার বাবলু। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

হামলায় গুরুতর আহত আব্দুল ছাত্তার বাবলু। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। ১৪ জুন বিকেলে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়ীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল ছাত্তার বাবলুকে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়ীয়া গ্রামে আব্দুস সালাম মন্ডলের পাঁচজন ছেলে। তারা একই বসতভিটায় বসবাস করে আসছেন। ১৪ জুন বিকালে গরুর খাওয়া ধানের খড়ের স্তূপ (উচুঁঢিবি) দিচ্ছিলেন বড় ভাই আব্দুল কাদের। এতে বাধা দেন ছোট ভাই আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী ছালেহা বেগম। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের পক্ষের সদস্যদের মধ্যে লাঠিসোঁটা, রামদা নিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে আব্দুল কাদেরের ছেলে শামীম মিয়া রামদা দিয়ে তার চাচা আব্দুল ছাত্তার বাবলুর পেটে কোপ দেন। এতে আব্দুল ছাত্তার বাবলুর পেটের নাড়িভুরি বের হয়ে যায়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

অন্যান্য আহতরা হলেন আব্দুল লতিফ (৪০), ছালেহা বেগম (৩৫), সাগর মিয়া (১৮), সালমা বেগম (৪৫), আব্দুল কাদের (৬০), জুয়েল মিয়া (২৮), ফরিদা বেগম (২২), ঝরনা বেগম (৫০), মোজাম্মেল হক (৫৫) ও মাহফুজুর রহমানকে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বলেন, সংর্ঘষের ঘটনাটি কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা

সরিষাবাড়ীতে খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

আপডেট সময় ১২:৩৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
হামলায় গুরুতর আহত আব্দুল ছাত্তার বাবলু। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। ১৪ জুন বিকেলে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়ীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল ছাত্তার বাবলুকে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়ীয়া গ্রামে আব্দুস সালাম মন্ডলের পাঁচজন ছেলে। তারা একই বসতভিটায় বসবাস করে আসছেন। ১৪ জুন বিকালে গরুর খাওয়া ধানের খড়ের স্তূপ (উচুঁঢিবি) দিচ্ছিলেন বড় ভাই আব্দুল কাদের। এতে বাধা দেন ছোট ভাই আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী ছালেহা বেগম। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের পক্ষের সদস্যদের মধ্যে লাঠিসোঁটা, রামদা নিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে আব্দুল কাদেরের ছেলে শামীম মিয়া রামদা দিয়ে তার চাচা আব্দুল ছাত্তার বাবলুর পেটে কোপ দেন। এতে আব্দুল ছাত্তার বাবলুর পেটের নাড়িভুরি বের হয়ে যায়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

অন্যান্য আহতরা হলেন আব্দুল লতিফ (৪০), ছালেহা বেগম (৩৫), সাগর মিয়া (১৮), সালমা বেগম (৪৫), আব্দুল কাদের (৬০), জুয়েল মিয়া (২৮), ফরিদা বেগম (২২), ঝরনা বেগম (৫০), মোজাম্মেল হক (৫৫) ও মাহফুজুর রহমানকে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বলেন, সংর্ঘষের ঘটনাটি কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।