নকলা-চন্দ্রকোনা রাস্তার বেহাল দশা: ১৫ মিনিটের পথ যেতে লাগে ১ ঘন্টা

নকলা-চন্দ্রকোনা রাস্তার বেহাল দশা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলা শহর থেকে চন্দ্রকোনা বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। এ রাস্তার পুরোটাই পিচ, বালু, খোয়া, গুরুত্ব¡পূর্ণ স্থানে কারপেটিং ও ইটের সলিং উঠে গিয়ে পানি জমে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একেবারেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে রাস্তার দুইপাশও ভেঙ্গে সরু হয়ে গেছে। বড় গরুর হাট, বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠিান ও শস্যের গুদাম, পুলিশ ফাঁড়িসহ ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে পরিচিত এ এলাকা। ভাঙাচোরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন যানবাহন চালকসহ সাধারণ যাত্রীরা।

সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি পাকা করা হয়। তবে বছর যেতে না যেতেই এ সড়কের পিচ, আট, বালু উঠে যায়। পরবর্তীতে জোড়া তালি দিয়ে কিছু মেরামত কাজ করা হলেও দীর্ঘ ২-৩ বছর এ রাস্তাটি সংস্কার বা পুন:নির্মাণের উদ্যেগ নেয়া হয়নি। ফলে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে নকলা শহর থেকে চন্দ্রকোনা বাজার পর্যন্ত যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

নকলার সাথে চন্দ্রকোনা যোগাযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে যানচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপশি পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ছোট ও মাঝারি যানবাহন আটকে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে চললেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন। এসব স্থানে বৃষ্টির পানি জমে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সিএনজিচালক মোকলেছ, যাত্রী সাদ্দাম, জুয়েল ও পথচারী ইয়াসিন জানান, এ সড়কে প্রতিদিন শতশত বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন বিপদজনকভাবে চলাচল করছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনাসহ বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাও। তাই পথচারীসহ সংশ্লিষ্টরা এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কারে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী ভিভূতী মোহন পাল বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ পাওয়া গেছে এবং দরপত্রও আহবান করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন হবে।