চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব নাকচ

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে ওঠার পর তা নাচক করে দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন । তিনি বলেছেন, পড়াশোনা শেষ করার পর একজন ছাত্র অন্তত ৭ বছর সময় পায়। এটা অনেক সময়। তাছাড়া এর আগে চাকরির বয়স ২৫ বছর ছিলো, সেখান থেকে ২৭ ও পরবর্তীতে ৩০ বছর করা হয়। সে হিসেবে এখন বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখার পরিবেশ সন্তোষজনক। ছাত্ররা সময়মতোই পড়ালেখা করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে, ৬-৭ বছর সময় পাচ্ছে। তাদের উচিৎ, এটাকে উপযুক্ত ধরেই নিজেদের প্রস্তুত করা। এ সময় তিনি প্রস্তাব উত্থাপনকারী সংসদ সদস্যকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহবান জানান এবং প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।

কিন্তু সাংসদ বাবুল সেটি প্রত্যাহারে রাজি না হলে কণ্ঠভোটের আয়োজন করা হয়। কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা।

এদিকে প্রতিমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কড়া সমালোচনা করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারা বলছেন, এটা সরকারের ইশতেহারের অংশ। এখন সেটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অস্বীকার করতে পারে না। এর প্রতিবাদ তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন।

এর আগে সংসদ অধিবেশন চলাকালে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর পর্বে ‘৩৫ চাই’ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সরকারী চাকুরীতে নিয়োগে আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ বৎসর থেকে ৩৫ বৎসর উন্নীত করা হোক।’সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ