ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই ইসলামপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা পেল ঢেউটিন ইসলামপুরে পৌর নাগরিকসেবা নিশ্চিতের দাবিতে হাফিজ পাঠাগারের স্মারকলিপি পেশ দেওয়ানগঞ্জে দিনব্যাপী পুষ্টি মেলায় বাউল গান ও সমৃদ্ধ আলোচনা অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম প্রাণ প্রকৃতি শিক্ষা স্কুল নিসর্গপাঠ চালু হল সরিষাবাড়ীতে জাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির নতুন কমিটির সভাপতি রাবেয়া, সম্পাদক ইয়াসির দেওয়ানগঞ্জে ঔষধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন সরিষাবাড়ীতে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মালিকসহ ৭ জনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে বিকল্প জীবিকার জন্য ১৬ জেলে পেলেন বকনা বাছুর

নকলায় ৫০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

সাইদুল হকের লাশ উত্তোলন করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

সাইদুল হকের লাশ উত্তোলন করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলার ধামনা গ্রামে দাফনের ৫০ দিন পর কবর থেকে সাইদুল হক (৩৫) নামের এক কৃষকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ২০ মার্চ সকালে ধামনা গ্রামে নিহতের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় হাজারো উৎসুক জনতা ভীড় জমায়।

নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর বিকেলে সাইদুল হক ও তার ভাতিজা মজিবর রহমান ধামনা বাজারের উত্তর পার্শ্বে মাইকের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেকর্ডকৃত ভাষণ ও স্বাধীনতার কিছু গান বাজানোর সময় একই এলাকার শফিকুল ইসলাম গংরা ওই ভাষণ ও গান বন্ধ করে দিতে চাইলে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিলে পরদিন ধামনা বাজারের যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে ওই লোকজন সাইদুল হকের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় নকলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে সাইদুল হককে বাড়িতে নিয়ে আসলে গত ৩১ জানুয়ারি রাতে তিনি মারা যান।

পরের দিন সকালে তার লাশ দাফন করে পরিবারের সদস্যরা। এরপর নিহতের স্ত্রী শিল্পী খাতুন বাদী হয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ সিআর আমলী আদালতে ১১ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ১১ ফেব্রুয়ারি নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

নকলা থানায় এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- ধামনা গ্রামের মৃত জমশেদ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২), নবু (৩২), আবু বাক্কার (৪৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে সোহেল (২৮), নবুর ছেলে এছানুল (২১), সামছুল হকের ছেলে আকাইদ (৩৫), মৃত. ছামেদ আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম (৫৫), সামছুল হক (৫৮), আব্দুল হাই (৫০), মৃত. তায়েব আলীর ছেলে আজিজুল ও আবু বাক্কারের ছেলে সুমন (২২)।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফ হোসেন ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করলে শেরপুরের সি আর আমলী আদালতের নির্বাহী হাকিম মো. হুমায়ুন কবির সাইদুল ইসলামের লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য আদেশ দেন।

পরে ২০ মার্চ সকালে নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় নির্বাহী হাকিম ও নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফ হোসেনসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই

নকলায় ৫০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৯
সাইদুল হকের লাশ উত্তোলন করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলার ধামনা গ্রামে দাফনের ৫০ দিন পর কবর থেকে সাইদুল হক (৩৫) নামের এক কৃষকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ২০ মার্চ সকালে ধামনা গ্রামে নিহতের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় হাজারো উৎসুক জনতা ভীড় জমায়।

নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর বিকেলে সাইদুল হক ও তার ভাতিজা মজিবর রহমান ধামনা বাজারের উত্তর পার্শ্বে মাইকের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেকর্ডকৃত ভাষণ ও স্বাধীনতার কিছু গান বাজানোর সময় একই এলাকার শফিকুল ইসলাম গংরা ওই ভাষণ ও গান বন্ধ করে দিতে চাইলে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিলে পরদিন ধামনা বাজারের যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে ওই লোকজন সাইদুল হকের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় নকলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে সাইদুল হককে বাড়িতে নিয়ে আসলে গত ৩১ জানুয়ারি রাতে তিনি মারা যান।

পরের দিন সকালে তার লাশ দাফন করে পরিবারের সদস্যরা। এরপর নিহতের স্ত্রী শিল্পী খাতুন বাদী হয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ সিআর আমলী আদালতে ১১ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ১১ ফেব্রুয়ারি নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

নকলা থানায় এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- ধামনা গ্রামের মৃত জমশেদ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২), নবু (৩২), আবু বাক্কার (৪৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে সোহেল (২৮), নবুর ছেলে এছানুল (২১), সামছুল হকের ছেলে আকাইদ (৩৫), মৃত. ছামেদ আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম (৫৫), সামছুল হক (৫৮), আব্দুল হাই (৫০), মৃত. তায়েব আলীর ছেলে আজিজুল ও আবু বাক্কারের ছেলে সুমন (২২)।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফ হোসেন ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করলে শেরপুরের সি আর আমলী আদালতের নির্বাহী হাকিম মো. হুমায়ুন কবির সাইদুল ইসলামের লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য আদেশ দেন।

পরে ২০ মার্চ সকালে নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় নির্বাহী হাকিম ও নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফ হোসেনসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।