ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেলান্দহে আগুনে পুড়ে ১০টি গরুর মৃত্যু

মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া গরু ও গোয়ালঘর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া গরু ও গোয়ালঘর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মো. মুত্তাছিম বিল্লাহ্, মেলান্দহ (জামালপুর) সংবাদদাতা
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় একটি গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ডে দুটি গাভী ও তিনটি ষাড়গরুসহ ১০টি গরু এবং একটি ছাগল মারা গেছে এবং বিপুল পরিমাণ মরিচ, সরিষা ও ডিজেল তেল পুড়ে গেছে। ১৪ মার্চ রাতে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুরচর গ্রামের কৃষক মো. বেলাল হোসেনের গোয়ালঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ওই কৃষক দাবি করেছেন।

কৃষক মো. বেলাল হোসেন জানান, ১৪ মার্চ রাতে তিনি স্থানীয় বাজারে ছিলেন। রাত আটটার দিকে আকস্মিক তার গোয়ালঘরে আগুন ধরে যায়। প্রতিবেশীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ছুটে গেলেও আশেপাশে কোনো পুকুর বা জলাশয় না থাকায় পানির অভাবে আগুন নেভানো যায়নি। এতে আগুনে পুড়ে তার দুটি গাভী ও তিনটি ষাড়গরুসহ মোট ১০টি গরু এবং একটি ছাগল মারা গেছে। এ ছাড়াও ওই গোয়াল ঘরের মাচায় রাখা ২০০ কেজি শুকনা মরিচ, ৩৬০ কেজি সরিষা ও সেচের জন্য মজুত ১৯০ লিটার ডিজেল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে ৫০ ওয়াটের একটি সোলার প্যানেলও পুড়ে যায়। এতে তার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া গরু ও গোয়ালঘর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বেলাল হোসেন বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, আমাদের এই চর এলাকাটা খুবই দুর্গম এলাকা। এখানে কোনো গাড়ি আসতে পারে না। তাই আমরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেইনি। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডে আমি নি:স্ব হয়ে গেলাম। আমি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

মেলান্দহ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ১৪ মার্চ রাতে শ্যামপুর ইউনিয়নের বালুরচর গ্রাম থেকে আগুন লাগার কোনো ফোন আসেনি। কোথাও থেকে আগুন লাগার সংবাদ আসার সাথে সাথেই আমরা বেরিয়ে যাই নেভানো এবং উদ্ধার কাজের জন্য। কোথাও গাড়ি না গেলেও আমরা বিকল্প উপায়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এটাই আমাদের কাজ।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মেলান্দহে আগুনে পুড়ে ১০টি গরুর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:৫৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯
মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া গরু ও গোয়ালঘর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মো. মুত্তাছিম বিল্লাহ্, মেলান্দহ (জামালপুর) সংবাদদাতা
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় একটি গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ডে দুটি গাভী ও তিনটি ষাড়গরুসহ ১০টি গরু এবং একটি ছাগল মারা গেছে এবং বিপুল পরিমাণ মরিচ, সরিষা ও ডিজেল তেল পুড়ে গেছে। ১৪ মার্চ রাতে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুরচর গ্রামের কৃষক মো. বেলাল হোসেনের গোয়ালঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ওই কৃষক দাবি করেছেন।

কৃষক মো. বেলাল হোসেন জানান, ১৪ মার্চ রাতে তিনি স্থানীয় বাজারে ছিলেন। রাত আটটার দিকে আকস্মিক তার গোয়ালঘরে আগুন ধরে যায়। প্রতিবেশীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ছুটে গেলেও আশেপাশে কোনো পুকুর বা জলাশয় না থাকায় পানির অভাবে আগুন নেভানো যায়নি। এতে আগুনে পুড়ে তার দুটি গাভী ও তিনটি ষাড়গরুসহ মোট ১০টি গরু এবং একটি ছাগল মারা গেছে। এ ছাড়াও ওই গোয়াল ঘরের মাচায় রাখা ২০০ কেজি শুকনা মরিচ, ৩৬০ কেজি সরিষা ও সেচের জন্য মজুত ১৯০ লিটার ডিজেল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে ৫০ ওয়াটের একটি সোলার প্যানেলও পুড়ে যায়। এতে তার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া গরু ও গোয়ালঘর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বেলাল হোসেন বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, আমাদের এই চর এলাকাটা খুবই দুর্গম এলাকা। এখানে কোনো গাড়ি আসতে পারে না। তাই আমরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেইনি। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডে আমি নি:স্ব হয়ে গেলাম। আমি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

মেলান্দহ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ১৪ মার্চ রাতে শ্যামপুর ইউনিয়নের বালুরচর গ্রাম থেকে আগুন লাগার কোনো ফোন আসেনি। কোথাও থেকে আগুন লাগার সংবাদ আসার সাথে সাথেই আমরা বেরিয়ে যাই নেভানো এবং উদ্ধার কাজের জন্য। কোথাও গাড়ি না গেলেও আমরা বিকল্প উপায়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এটাই আমাদের কাজ।