বরিশালে কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ১ মার্চ দুপুরে দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কারাগারের বন্ধ থাকা ডিভিশন ভবনের রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

নিহত কবির সিকদার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার জামিরতলা এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, দুপুরে বেশ কিছু সময় ধরে তার নির্ধারিত স্থানে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে কারাগারের ভেতরেই বন্ধ থাকা ডিভিশন ভবনের রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেল হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কবির কৌশলে তার নির্ধারিত স্থান থেকে সরে গিয়ে দেয়াল টপকে বন্ধ থাকা ডিভিশন ভবন এলাকায় পৌঁছায়। তবে এ ঘটনায় কারো দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি কবির ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ভোলা জেলা কারাগার থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আসে। অসুস্থ থাকায় এখানে আসার পর সে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসাও নিয়েছেন। পাশাপাশি জেলখানায় ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করেছেন।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ