মাদারগঞ্জের কিশোরীকে ঢাকায় ধর্ষণকারী রাজিব গ্রেপ্তার

জাহিদুর রহমান উজ্জল, মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এক কিশোরীকে প্রতারণার ফাঁদ পেতে ঢাকায় নিয়ে ১০দিন আটক রেখে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর প্রতারক রাজিব (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদারগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং গ্রেপ্তার রাজিবকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালি ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের মমিন নামের এক যুবকের সাথে প্রতিবেশী ১৩ বছর বয়সী ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। পারিবারিক বাঁধার কারণে এক পর্যায়ে প্রেমিক মমিনের সাথে ওই কিশোরীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এই সুযোগে প্রতারণার ফাঁদ পেতে মমিনের বন্ধু পার্শবর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রামের রাজিব ওই কিশোরীকে জানায় যে তার প্রেমিক মমিন ঢাকায় আছে। রাজিব ওই গ্রামের মো. হুমায়ুনের ছেলে এবং তিনি বিবাহিত।

ওই কিশোরী রাজিবের কথায় বিশ্বাস করে। রাজিব তার আরেক বন্ধু আনিছের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিয়ে যায়। রাজিব স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে ঢাকার মিরপুরে তার স্বজনের বাসায় উঠে। সেখানে রাজিব মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টানা কয়েক দিন ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বাড়িতে জরুরি কাজের কথা বলে ওই কিশোরীকে ওই বাসায় রেখে গা ঢাকা দেন রাজিব। স্থানীয়দের সহায়তায় কিশোরী বাড়িতে ফোন করে তার স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে ঢাকার ওই বাসা থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি মাদারগঞ্জে তার বাড়িতে চলে আসে।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী ২২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে প্রতারক রাজিবকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাদারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর মাদারগঞ্জ থানা পুলিশ ২২ ফেব্রুয়ারি রাতেই প্রতারক রাজিবকে গ্রেপ্তার করেছে।

মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বাংলারচিঠি ডটকম বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি জামালপুর সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলাটির আসামি রাজিবকে আদালতের মাধ্যমে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।