ইসলামপুরে বিংগস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

ইসলামপুরে বিংগস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

ইউরোপিয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জামালপুর ও শেরপুর জেলার পুষ্টিগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শিশু এবং মায়েদের পুষ্টি স্থিতিশীলতাকে উন্নত করার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ইনিসিয়েটিভ টু এনহ্যান্স নিউট্রিশন সিকিউরিটি এন্ড গভরন্যান্স (বিংগস) প্রকল্প। প্রকল্পটি সম্পর্কে সরকারি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের ধারনায়ন সৃষ্টির উদ্দেশে ১৮ ফেব্রুয়ারি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় অবহিতকরণ সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, হারভেস্ট প্লাসের জ্যেষ্ঠ পরিবীক্ষণ বিশেষজ্ঞ মো. ওয়াহেদুল আমিন, উন্নয়ন সংঘের বিংগস প্রকল্পের সমন্বয়কারি মো. হারুন অর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিংগস প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

সভায় কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, সমাজসেবা, প্রাণিসম্পদসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের প্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৬০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

অবহিতকরণ সভা সূত্রে প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়, স্থানীয় বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু পরিচর্যাকারী, পাঁচ বছরের নীচে শিশু, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং কিশোরীদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের উন্নয়ন করা। সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রো পুওর গভরন্যান্সের মাধ্যমে পুষ্টি সম্পর্কিত গুণগত মান ও সেবা বৃদ্ধি করা। উন্নত পারিবারিক খাদ্য উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি এবং পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমতা ও সংবেদনশীল পুষ্টি মূল্যক্রমের মাধ্যমে পারিবারিক খাদ্য গ্রহণের হার বৃদ্ধি। স্থানীয় জনসাধারণ, বেসরকারি পুষ্টি অংশীদার এবং স্থানীয় পুষ্টি কার্যক্রমের সমর্থনকারীদের মধ্যে আন্তঃসমন্বয় করা।

উল্লেখ, ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮২৫টি দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবার নিয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে। এরমধ্যে ৯৩ হাজার ৮৭ জন পাঁচ বছরের নীচের বয়সি শিশু, ৫০ হাজার ৭৩২ জন গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী এবং ৪৪ হাজার ৭৩৫ জন কিশোরী রয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে ৮ হাজার ৮৪৬ জন প্রতিবন্ধী শিশু এবং ৬ হাজার ৮০৪ জন প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরী রয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উল্লেখ করেন যে প্রকল্পটি ইসলামপুর উপজেলার জন্য খুবই কার্যকারী উদ্যোগ এবং তিনি শুধু মাত্র সাতটি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ না রেখে সকল ইউনিয়নে এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সুস্থ মা, সুস্থ সন্তানই দিতে পারে আগামী প্রজন্ম ও উন্নত জাতি। কাজেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রকল্পটি একটি সময় উপযোগী প্রকল্প। যেহেতু মা ও শিশু, পুষ্টি এবং কিশোর-কিশোরী নিয়ে কাজ করবে সেহেতু দাতা সংস্থাকে এই বিষয়ে আরো এগিয়ে আসার জন্য আহবান করেন তিনি।