শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না : হাইকোর্ট

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : সরকারি-বেসরকারি কোনো ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালাসহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি কোচিং বাণিজ্যকে একটি নতুন ধরনের অপরাধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে করা এক রিটের শুনানিতে ওই রায় দেয় আদালত। রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ক্লাস রুমে পড়ানোর ব্যর্থতার কারণেই কোচিং বাণিজ্য হচ্ছে। এটি একটি নতুন অপরাধ।

শুনানি শেষে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। আজ রায়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজীব আল জলিলের সম্বনয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের জন্য কোচিং নিষিদ্ধ করেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম এবং দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

উল্লেখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারি করলেও এতোদিন তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেনি। অবশেষে ছয় বছর পর গত ২৪ জানুয়ারি গেজেট আকারে তা প্রকাশ করে।

গেজেটে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের এক শ্রেণির শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোচিং পরিচালনা করে আসছেন। এটি বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের কাছে জিম্মি। যা পরিবারের বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে। এই বাড়তি ব্যয় মেটাতে অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, অনেক শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মনযোগী না হয়ে কোচিংয়ে বেশি সময় ব্যয় করছেন। এক্ষেত্রে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরপর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে নীতিমালার অন্যান নির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ