ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুর আইডিয়াল স্কুল ও কলেজে নবীনবরণ, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা শেরপুর সরকারি কলেজে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থীর উঠান বৈঠক ঝাউগড়ায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছে রক্তের বন্ধন টিকিট কালোবাজারি জামাল গ্রেপ্তার, ৮টি টিকিট জব্দ শেরপুর দোকান মালিক ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠিত মাদারগঞ্জে সেচ্ছাসেবকদল নেতার গোয়ালঘরের তালা ভেঙে আটটি গরু চুরি নিরাপদ সড়ক দিবস : জামালপুরে শোভাযাত্রা, পথসভা ও হেলমেট বিতরণ দেওয়ানগঞ্জে মাদরাসাছাত্র হত্যা : দুই আসামিকে আটকাদেশ ইসলামপুরে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ, কাগজে কলমেই প্রকল্প সীমাবদ্ধ

ঝিনাইগাতীতে ট্রান্সফরমার বিকল : হাজারো বিঘা বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় একটি ট্রান্সফরমার দীর্ঘ ছয়মাস যাবত বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও আজও তা পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় হাজারো বিঘা জমিতে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে সেচের অভাবে বোরো চাষ করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শতাধিক কৃষক। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রান্সফরমার বিকলের বিষয়টি জানেন না দাবি করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী কৃষক আলাউদ্দীন, আবু হেনা ও সিরাজ মিয়া জানান, উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ধারাপানি এলাকায় ২৫০ কেভির একটি বিদ্যুতিক ট্রান্সফরমার গত ছয়মাস আগে বিকল হয়ে পড়ে। এ দীর্ঘ দিনেও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন বিকল ট্রান্সফরমারটি মেরামত বা পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। পিডিপির ওই ট্রান্সফরমারের আওতায় তিনটি গভীর নলকূপের সংযোগ রয়েছে। ওইসব নলকূপের পানিতে এলাকার শতাধিক কৃষক হাজারো বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করে থাকে।

নলকূপ মালিক জহির উদ্দিন বলেন, ট্রান্সফরমারটি পরিবর্তন করার জন্য উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী কাছে বিভিন্ন সময়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। আবাসিক প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম তার কাছে এক লাখ টাকা ট্রান্সফরমার পরিবর্তনের জন্য দাবি করেন। তার দাবি অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় ট্রান্সফরমার পায়নি সেচ পাম্প মালিকরা। ফলে চলতি মৌসুমে জমিতে সেচ দিতে না পারায় হাজারো বিঘা জমি অনাবাদী থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই বিকল ট্রান্সফরমারের আওতায় সিঙ্গেল ফেইসে ছোট সেচ পাম্প ও বাতি জ্বালানোর সুযোগ রয়েছে। এ কারনে ট্রান্সফরমারটি পরিবর্তন করা হয়নি।

অন্যদিকে ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ার বিষয়টি জানেন না দাবি করে শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিউবো) সুব্রত রায় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর আইডিয়াল স্কুল ও কলেজে নবীনবরণ, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

ঝিনাইগাতীতে ট্রান্সফরমার বিকল : হাজারো বিঘা বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

আপডেট সময় ০৬:০২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় একটি ট্রান্সফরমার দীর্ঘ ছয়মাস যাবত বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও আজও তা পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় হাজারো বিঘা জমিতে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে সেচের অভাবে বোরো চাষ করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শতাধিক কৃষক। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রান্সফরমার বিকলের বিষয়টি জানেন না দাবি করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী কৃষক আলাউদ্দীন, আবু হেনা ও সিরাজ মিয়া জানান, উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ধারাপানি এলাকায় ২৫০ কেভির একটি বিদ্যুতিক ট্রান্সফরমার গত ছয়মাস আগে বিকল হয়ে পড়ে। এ দীর্ঘ দিনেও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন বিকল ট্রান্সফরমারটি মেরামত বা পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। পিডিপির ওই ট্রান্সফরমারের আওতায় তিনটি গভীর নলকূপের সংযোগ রয়েছে। ওইসব নলকূপের পানিতে এলাকার শতাধিক কৃষক হাজারো বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করে থাকে।

নলকূপ মালিক জহির উদ্দিন বলেন, ট্রান্সফরমারটি পরিবর্তন করার জন্য উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী কাছে বিভিন্ন সময়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। আবাসিক প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম তার কাছে এক লাখ টাকা ট্রান্সফরমার পরিবর্তনের জন্য দাবি করেন। তার দাবি অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় ট্রান্সফরমার পায়নি সেচ পাম্প মালিকরা। ফলে চলতি মৌসুমে জমিতে সেচ দিতে না পারায় হাজারো বিঘা জমি অনাবাদী থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই বিকল ট্রান্সফরমারের আওতায় সিঙ্গেল ফেইসে ছোট সেচ পাম্প ও বাতি জ্বালানোর সুযোগ রয়েছে। এ কারনে ট্রান্সফরমারটি পরিবর্তন করা হয়নি।

অন্যদিকে ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ার বিষয়টি জানেন না দাবি করে শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিউবো) সুব্রত রায় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।