জামালপুরে বিংগস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

জামালপুরে বিংগস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর ও শেরপুর জেলার পুষ্টিগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শিশু এবং মায়েদের পুষ্টি স্থিতিশীলতাকে উন্নত করার লক্ষ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ইনিসিয়েটিভ টু এনহ্যান্স নিউট্রিশন সিকিউরিটি এন্ড গভরন্যান্স (বিংগস) প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা ৬ জানুয়ারি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নজরুল ইসলাম সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর।

সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আব্দুল মজিদ, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক নিরঞ্জন বন্ধু দাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক নুরুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মছিরুননেছা, উপ-সিভিল সার্জন চিকিৎসক মোন্তাকিম মাহমুদ সাফি, জামালপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মাজহারুল ইসলাম, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, ওয়ার্ল্ড ভিশন এনএসভিসি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আব্দুল হান্নান, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক জামান, ইটাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী হাফিজুর রহমান স্বপন, যুব প্রতিনিধি আসমাউল আসিফ, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলাল উদ্দিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিংস প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

অবহিতকরণ সভা সূত্রে প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়, স্থানীয় বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু পরিচর্যাকারী, পাঁচ বছরের নীচে শিশু, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং কিশোরীদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের উন্নয়ন করা। সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রো পুওর গভরন্যান্সের মাধ্যমে পুষ্টি সম্পর্কিত গুণগত মান ও সেবা বৃদ্ধি করা। উন্নত পারিবারিক খাদ্য উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি এবং পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমতা ও সংবেদনশীল পুষ্টি মূল্যক্রমের মাধ্যমে পারিবারিক খাদ্য গ্রহণের হার বৃদ্ধি। স্থানীয় জনসাধারণ, বেসরকারি পুষ্টি অংশীদার এবং স্থানীয় পুষ্টি কার্যক্রমের সমর্থনকারীদের মধ্যে আন্তঃসমন্বয় করা।

উল্লেখ, এক লাখ ৫৩ হাজার ৮২৫টি দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবার নিয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে। এরমধ্যে ৯৩ হাজার ৮৭ জন চার বছরের নীচের বয়সি শিশু, ৫০ হাজার ৭৩২ জন গর্ভবতী দুগ্ধদানকারী নারী এবং ৪৪ হাজার ৭৩৫ জন কিশোরী রয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে আট হাজার ৮৪৬ জন প্রতিবন্ধী শিশু এবং ছয় হাজার ৮০৪ জন প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরী রয়েছে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘ জামালপুর ও শেরপুর জেলায় পাঁচ বছরব্যাপী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, জামালপুরে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতা দূরীকরণ এবং মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হ্রাস এবং বাল্যবিয়ে রোধ করতে পারলে জামালপুর হবে বাংলাদেশের মধ্যে আদর্শ একটি জেলা।