৮০ ভাগ লোকের মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ জামালপুরে কর্মশালায় প্রকাশ

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

সামাজিক, পেশাগত, আধ্যাত্মিক শারীরিক, বুদ্ধিভিত্তিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশগত এবং আবেগ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় মানুষের সুস্থতার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব সৃষ্টি করার পাশাপাশি অসংক্রামক রোগের হাত থেকে মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে আনা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা সৃষ্টির লক্ষ্যে জামালপুরে অনুষ্ঠিত হয় স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ও পরিবেশের প্রভাব বিষয়ক কর্মশালা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোহা. আখতারুজ্জামান ।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন চিকিৎসক মোন্তাকিম মাহমুদ সাদী। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক জামান, উন্নয়ন সংঘের মানব সম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের খলিলুর রহমান প্রমুখ।

কর্মশালায় সদর উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

কর্মশালায় উপস্থাপিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, প্রতিবছর বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে ৮০ ভাগ মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে অসংক্রামক রোগ। বিশেষ করে হৃদরোগ, ক্যান্সার, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ এবং ডায়াবেটিস। জীবনধারা পরিবর্তন এবং পরিবেশের নেতিবচাক প্রভাবের ফলে অসংক্রামক রোগ দিনে দিনে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আলোচকরা বলেন, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার কমিয়ে আনা, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য পরিহার করা এবং অ্যালকোহল ও মাদক সম্পূর্ণভাবে পরিহার করতে হবে।

কর্মশালা থেকে উঠে আসা জনগুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলো আপামর মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর সহযোগিতায় এর আগে জেলা পর্যায়ে এবং দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় একই বিষয়ের ওপর বিভিন্ন তারিখে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।