৩ জানুয়ারি শপথ নেননি যারা

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ৩ জানুয়ারি সকালে শপথ নিয়েছেন। তবে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আজ শপথ নেননি।

জানা গেছে, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেননি। ঐক্যফ্রন্ট এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে ৫ জানুয়ারির পর। বিএনপির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

শপথ পড়ানোর বিষয়ে সংবিধানে ১৪৮ এর ২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি যে কোনো কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি’।

তিনদিনের মধ্যে অর্থাৎ ৫ জানুয়ারির মধ্যে শপথ না নিলে সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে শপথ ও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর না করলে সে আসন শূন্য ঘোষণার দায়িত্ব সংসদের। সেই আসন শূন্য ঘোষণা করে পুনঃনির্বাচনের জন্য ইসিকে সংসদ সচিবালয় চিঠি দেবে।

এর আগে ৩ জানুয়ারি বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে দশম সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সংসদ সসদ্যদের শপথ পড়ান। শপথ নেন আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের ২৮৮ সংসদ সস্য। এ ছাড়া স্বতন্ত্র জনপ্রতিনিধিরাও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।

নতুন সংসদ সদস্যরা একসঙ্গে সমস্বরে স্পিকারের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন। এর আগেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্পিকার শপথ বাক্য পাঠ করার পর প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে উঠে হাত তালি দেন। পরে শিরীন শারমিন শপথপত্রে সই করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৯টি, জাতীয় পার্টি (জাপা) ২০টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৫টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ২টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি, গণফোরাম ২টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১টি এবং তরিকত ফেডারেশন ১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনে তিনজন স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে, একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ৩টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করায় ফলাফলও স্থগিত করা হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ