সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠি ডটকম
শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে গাড়ির বহরে হামলার অভিযোগ এনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বিএনপির প্রার্থী চিকিৎসক সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা শহরের মাধবপুর এলাকায় তার বাড়িতে এবং দুপুরে শহরের চকবাজার এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিক সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ দিন বিএনপি প্রার্থী চিকিৎসক সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, নির্বাচনী গণসংযোগের জন্য আমি ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকার ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে যাই। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা আমার গাড়ির বহরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমার সাথে থাকা খালা, ভাই, অন্যান্য আত্মীয়স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা আহত হন। এ ছাড়া আমার নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়টি জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসকের সাথে সরাসরি দেখা করে মৌখিক এবং লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোন সুরাহা পাওয়া যায় নি।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমি ক্লিয়ার একজন মানুষ। নির্বাচন করতে এসেছি। আমার উপর হামলা ও মামলা করে কি লাভ। আমি কারো পিছনেও নেই, আগেও নেই। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে জিতলে জিতবো, হারলে হারবো। যে জিতবে তাকে সন্মানের সাথে ওয়েলকাম করবো। এখন আমার সাথে ৩০ তারিখ পর্যন্ত যদি কেউ না থাকে, তবুও আমি নির্বাচন করবো। প্রয়োজনে আমি নিজেই প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের দায়িত্ব পালন করবো।
ধানের শীষের এই প্রার্থী কান্না জড়িত কন্ঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উদ্দেশে বলেন, দয়া করে আমার দলের লোকজন, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালাবেন না।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিক অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী প্রচারের জন্য আমার দুই কন্যা ওই দিন বিকেলে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারে যায়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা বিএনপি প্রার্থী চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কার প্রত্যক্ষ নির্দেশে আমার দুই মেয়ের গাড়িতে হামলা চালায় বিএনপির কর্মীরা।
আতিক বলেন, এ আসনে বিএনপির মূল প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী। কিন্তু ঋণ খেলাপির কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। এর পরিবর্তে তার অর্বাচিন ও উন্মাদ মেয়েকে (প্রিয়াঙ্কা) দিয়ে নির্বাচনী মাঠে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হচ্ছে। এবং নির্বাচনকে বানচাল করার পাঁয়তারা চলছে।
আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী দাবি করেন, ইতিমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুর, নৌকার প্রতীকের পোষ্টার ছিঁড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে।