জামালপুর-১ আসনে মাঠে নেই পাঁচ প্রার্থী

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে ভোটের আমেজ নেই। ঝিমিয়ে পড়েছে নির্বাচনী সকল কার্যক্রম। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ মাঠে কাজ করছেন। বিএনপির প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের প্রার্থীতা স্থগিত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রম।

জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুরু হওয়ার পর সাতজন প্রার্থী প্রতীক পায়। এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের প্রার্থীতা স্থগিত করে হাইকোর্ট। পরে ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগেও হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রাখে। মিল্লাতের প্রার্থীতা স্থগিত হওয়ার পর বিএনপি তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ প্রতিদিন গণসংযোগ ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। বিজয় নিশ্চিত জেনেও ঘরে বসে নেই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।

এদিকে বিএনপি প্রার্থী ছাড়াও বৈধ আরো পাঁচ প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নেই। তারা কেবল ভোটে থাকলেও মাঠে নেই। তিন প্রার্থীর এখনো পোষ্টার নেই মাঠে। কার কি প্রতীক সেটাও জানেনা ভোটাররা।

আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ শুধুমাত্র মাঠে একাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সারাদিন নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন তিনি। লাঙল প্রতীক পেয়েও মাঠে নেই জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার। এ ছাড়াও মাঠে নেই গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীকের প্রার্থী মো. সিরাজুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (পার্থ)  কাঁঠাল প্রতীকের প্রার্থী  মো. জাহাঙ্গীর আলম, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির  কুড়েঘর প্রতীকের মো. সুরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল মজিদ।

এরমধ্যে কিছু সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মওলানা আব্দুল মজিদ হাতপাখা প্রতীকের জন্য ভোট চাচ্ছেন। বাকিরা রয়েছেন সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় । অনেকেই বলছেন আবুল কালাম আজাদ ফের সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন। কারণ বিএনপির প্রার্থী না থাকায় তেমন কোনো ঝামেলা দেখছেন না আওয়ামী লীগ। যেহেতু অন্যদল থেকেও যোগ্য কোনো প্রার্থী নেই সেই ক্ষেত্রে নৌকা প্রতীকেই আস্থা রাখবে সাধারণ মানুষ।

নির্বাচনী মাঠে শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না থাকলেও রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি ভোটের মাঠে একাই চষে বেড়াচ্ছেন। অসংখ্য নেতাকর্মী তার সাথে মাঠে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগের বিজয় দ্বারপ্রান্তে মনে হলেও অপেক্ষা করতে হবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু জাফর বলেন, আমরা প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মনে করেই মাঠে নেমেছি। নির্বাচনের মাঠে কে ছোট কে বড় সেটা ভাবার সময় নেই। নৌকাকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে হবে সেভাবেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ।