ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরিষাবাড়ীতে শ্রমিক নেতা আজিজ হত্যা মামলার আসামি আতশী গ্রেপ্তার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশনার রজতজয়ন্তী উৎসব জামালপুরে দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়ন রশিদ খানের কেপ টাউন গোল করলেন, করালেন, ইন্টার মিয়ামিকে জেতালেন মেসি পতিত সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস সরকার প্রধান হওয়ায় ভারত বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে পারেনি : ব্যারিস্টার ফুয়াদ বকশীগঞ্জে নিজের কেনা জমি উদ্ধার চান অসহায় মর্জিনা শেরপুরে ১০৪ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী দুরুল আটক ব্রহ্মপুত্র নদ দখল করে গড়া বিশ্ববিদ্যালয় ভেঙে দিতে বললেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আমজাদ হোসেন আর নেই

আমজাদ হোসেন

আমজাদ হোসেন

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী এবং লেখক আমজাদ হোসেন ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। ১৪ ডিসেম্বর দুপুর তিনটার দিকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। খবর ডেইলি বাংলাদেশের।

আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের চিকিৎকরা বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

আমজাদ হোসেনের মৃতদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে দোদুল বলেন, এখনো কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে, কখন, কীভাবে নিয়ে আসা হবে তার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে জানানো হবে।

গেল ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করেন গুনী এ নির্মাতা। সেদিনই তাকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নেয়া হয়। ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তিনি প্রখ্যাত নিউরোসার্জন টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্ম নেয়া আমজাদ হোসেন চিত্র পরিচালনার বাইরে লেখক, গীতিকার, অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত।‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৬১ সালে রুপালি পর্দায় তার আগমন। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় তিনি বেশি সময় দেন। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘খেলা’। সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’র চিত্রনাট্য লেখায় জহির রায়হানের সঙ্গে আমজাদ হোসেনও ছিলেন।

তার ‘নয়নমনি’, ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘কসাই’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রও দর্শক ও বোদ্ধামহলের প্রশংসা পায়। তার লেখা ও নির্মিত টিভি নাটকও ছিল জনপ্রিয়।

গান লেখায়, চিত্রনাট্যে ও পরিচালনায় চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া সরকার তাকে একুশে পদকেও ভূষিত করে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরিষাবাড়ীতে শ্রমিক নেতা আজিজ হত্যা মামলার আসামি আতশী গ্রেপ্তার

আমজাদ হোসেন আর নেই

আপডেট সময় ০৬:৩৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
আমজাদ হোসেন

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী এবং লেখক আমজাদ হোসেন ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। ১৪ ডিসেম্বর দুপুর তিনটার দিকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। খবর ডেইলি বাংলাদেশের।

আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের চিকিৎকরা বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

আমজাদ হোসেনের মৃতদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে দোদুল বলেন, এখনো কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে, কখন, কীভাবে নিয়ে আসা হবে তার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে জানানো হবে।

গেল ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করেন গুনী এ নির্মাতা। সেদিনই তাকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নেয়া হয়। ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তিনি প্রখ্যাত নিউরোসার্জন টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্ম নেয়া আমজাদ হোসেন চিত্র পরিচালনার বাইরে লেখক, গীতিকার, অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত।‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৬১ সালে রুপালি পর্দায় তার আগমন। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় তিনি বেশি সময় দেন। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘খেলা’। সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’র চিত্রনাট্য লেখায় জহির রায়হানের সঙ্গে আমজাদ হোসেনও ছিলেন।

তার ‘নয়নমনি’, ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘কসাই’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রও দর্শক ও বোদ্ধামহলের প্রশংসা পায়। তার লেখা ও নির্মিত টিভি নাটকও ছিল জনপ্রিয়।

গান লেখায়, চিত্রনাট্যে ও পরিচালনায় চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া সরকার তাকে একুশে পদকেও ভূষিত করে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ