শেরপুরে আতিকের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশন

আওয়ামী লীগ নেতা ছানোয়ার হোসেন ছানু ও তার সমর্থকরা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে ওই সড়ক অবরোধ করে রাখে। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

সুজন সেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

শেরপুর-১ সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিকের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ছানোয়ার হোসেন ছানু ও তার সমর্থকরা। ২৭ নভেম্বর বিকালে শহরের কলেজ মোড়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় ছানু সমর্থিত আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী আতিক বিরোধী স্লোগান দিয়ে সারা শহর প্রকম্পিত করে রাখে।

সূত্র জানায়, এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার বেশ আগে থেকেই এ আসনে আওয়ামী লীগে চরম কোন্দল চলছে। প্রকাশ্যে অবস্থানসহ পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে আসছে দলের বিবদমান দু’অংশ। ফলে টানা চারবারের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিকের প্রতি প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ছানোয়ার হোসেন ছানু। এবারের নির্বাচনে তারা দু’জনসহ এ আসন থেকে ১৭ নেতা দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। এরপর গণভবনে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে জেলা-উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়ার পর থেকে প্রার্থীতা নিয়ে অনেকটা শঙ্কামুক্ত হয়ে পড়েন হুইপ আতিক। তার বলয়ে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের ঢেউ।

২৭ নভেম্বর দুপুরে হুইপ আতিক দলীয় মনোনয়ন নিয়ে শেরপুরে ঢোকার পরপরই ফুঁসে ওঠে ছানু সমর্থীত নেতাকর্মীরা। তারা এক সাথে জড়ো হয়ে শহরের কলেজ মোড়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে ওই সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ছানু।

হুইপ আতিকের দলীয় মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ছানু তার বক্তব্যে বলেন, শেরপুরের ৩ লাখ ৬০ হাজার ভোটার আতিকের মনোনয়নকে মানেন না। তাই এই মনোনয়নের পরিবর্তন আমরা চাই। শেরপুরের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মানুষ মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে আমরণ অনশন শুরু করেছে। এ সময় তিনি হুইপ আতিককে দুর্নীতিবাজ ও নারী লোভী আখ্যা দিয়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ আসনে মনোনয়নের পরিবর্তন চান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি এই মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হয় তাহলে আমরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এবং পরবর্তী নতুন কর্মসূচী দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ঘোষণা করা হবে।