যমুনা সারকারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, উৎপাদন বন্ধ

যমুনা সার কারখানা। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

কেপিআই-১ মানসম্পন্ন দেশের বৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) প্রায় শত কোটি টাকার যন্ত্র পুড়ে গেছে। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকার পর ২৭ নভেম্বর থেকে চালুর কথা থাকলেও এদিন ভোর পৌনে ছয়টার দিকে কারখানার অ্যামোনিয়া শাখার পি-হিটারে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে মুহূর্তেই অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রধান যন্ত্র পি-হিটার, সমস্ত ক্যাবল ও আশেপাশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কর্তৃপক্ষের অসতর্কতার কারণে পি-হিটারে অতিরিক্ত তাপে অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন। এতে উত্তরাঞ্চলের ২০টি জেলায় সারের চাহিদা মেটানো এ কারখানায় আগামী এক বছরের জন্য ইউরিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ থাকার শঙ্কা রয়েছে।

কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) এ কে এম আনোয়ারুল হক জানান, অ্যামোনিয়া প্লান্টের সিনথেসিস শাখার একটি টিউব হঠাৎ ফেটে যাওয়ায় আগুন ধরে যায়। তবে দুর্ঘটনার এক ঘন্টার মধ্যেই কারখানার নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

অভিযোগ রয়েছে, যমুনা সার কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে বারবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। যান্ত্রিক মেরামতের নামে গত ১১ নভেম্বর থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছিল। ২৭ নভেম্বর কর্তৃপক্ষ উৎপাদন চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও রহস্যজনক কারণে ওইদিন ভোরেই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় শত কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্র।

এ ব্যাপারে কারখানা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবা সুলতানা বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, সকাল থেকে উৎপাদন চালুর কথা ছিল, কিন্তু হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের কারণে তা সম্ভব হলো না। বিষয়টি বিসিআইসিকে জানানো হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটন করতে ইউরিয়া শাখার কর্মকর্তা অশ্বিনী কুমার ঘোষকে প্রধান করে একটি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করতে মেইনটেনেন্স শাখার জিএম শেখ মো. আব্দুল্লাহকে প্রধান করে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।