ইসলামপুরে যমুনার বাঁধের ৩৫ মিটার ধসে গেছে

এভাবেই ধসে যায় ইসলামপুরের শশারিয়াবাড়ী বেড়পাড়ায় যমুনার বামতীরের সিসি ব্লকের বাঁধ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুর, বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের শশারিয়াবাড়ী বেড়পাড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিসি ব্লকের ৩৫ মিটার বাঁধ ১০ অক্টোবর গভীর রাতে যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে ১২ অক্টোবর বিকেল থেকে সেখানে বালিভর্তি জিওব্যাগের ডাম্পিং কাজ শুরু করেছে।

জানা গেছে, জেলার ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের শশারিয়াবাড়ী এলাকায় ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে তিনটার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিসি ব্লকের প্রায় ৩৫ মিটার বাঁধ বিকট শব্দে আকস্মিক যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ নিয়ে যমুনাপাড়ের লোকজনরা ভাঙন ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার জনবসতি যমুনায় বিলীন হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন। যমুনার পানির প্রবল ঘূর্ণিস্রোতে সেখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। খবর পেয়ে ১১ অক্টোবর দুপুরে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১২ অক্টোবর বিকেল থেকে সেখানে বালিভর্তি জিওব্যাগের ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছে।

এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া বাজার এলাকায় এই বাঁধের ১৫ মিটার স্থান জুড়ে সিসি ব্লক নদীগর্ভে ধসে পড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে সেখানে বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানি বাজার থেকে ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ করতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও নিম্নমানের কাজ ও অনিয়ম করার কারণে এবং অবৈধভাবে বালি তোলার কারণে এই বাঁধটি সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, এই বাঁধ নির্মাণে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। কুলকান্দি এলাকায় যমুনা নদীর মূল চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে যমুনা নদীর পানিপ্রবাহ বামতীরে প্রবল বেগে চাপ দিচ্ছে। অপরদিকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে বালি তোলার কারণেও বাঁধটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও জানান, বাঁধের ধসে পড়া স্থানে ভাঙন প্রতিরোধে ডাম্পিংয়ের জন্য ৩ হাজার জিওব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১২ অক্টোবর বিকেল থেকে সেখানে বালিভর্তি জিওব্যাগের ডাম্পিং কাজ শুরু হয়েছে।