ইসলামপুরে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, থানায় মামলা, ইউপি সদস্য আটক

সাহিদুর রহমান, ইসলামপুর ॥
জামালপুরের ইসলামপুরে পাঁচ বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ৬ অক্টোবর রাতে চিনাডুলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আলী নূরকে আটক করেছে ইসলামপুর থানা পুলিশ। ওই শিশু ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের পঁচাবহলা গ্রামের এক দরিদ্র কাঠমিস্ত্রীর মেয়ে। শিশুটি চিনাডুলী ইউনিয়নের দক্ষিণ চিনাডুলী গ্রামে খালার বাড়িতে থাকত।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শিশুটি ৩ অক্টোবর বিকেলে দক্ষিণ চিনাডুলী গ্রামে তার খালার প্রতিবেশী ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী নূরের বাড়ির আঙ্গিনায় খেলাধুলা করছিল। এ সময় আলী নূর শিশুটিকে ফুসলিয়ে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করেন। শিশুটির খালা জানান, তার ভাগ্নি ওই দিনই ঘটনা জানালেও প্রভাবশালী ইউপি সদস্য আলী নূরের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি তারা।

৬ অক্টোবর রাতে খবর পেয়ে ইসলামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে শত শত মানুষ জড়ো হয়। পরে পুলিশ ওই শিশু ও তার খালাকে থানায় নিয়ে যায়। ৬ অক্টোবর রাতেই প্রভাবশালী আলী নূর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে সাথে নিয়ে থানায় যান পুলিশের সাথে দফারফা করতে। এ সময় পুলিশ আলী নূরকে আটক করে। এ ব্যাপারে শিশুটির খালা বাদী হয়ে তার ভাগ্নিকে দুই দফায় ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইউপি সদস্য আলী নূরকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন এ প্রসঙ্গে বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, শিশুটি খুব ছোট। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আলী নূরকে আদালতের মাধ্যমে জামালপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারিক হাকিম শিশুটির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

এই পাশবিক ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম। তিনি জানান, উন্নয়ন সংঘের আইআইআরসিসিএল প্রকল্পের আওতায় ভিক্টিমকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।