ইসলামপুরের উলিয়ায় যমুনার বাঁধে ভয়াবহ ধ্বস, জনমনে আতঙ্ক

যমুনার পানির প্রবল স্রোতে উলিয়া বাজারের পেছনের বাঁধের সিসি ব্লক ধসে গেছে। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

সাহিদুর রহমান, ইসলামপুর॥
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের সিসি ব্লকের বাঁধের প্রায় ১০ মিটার ধসে গেছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া বাজারের পেছনে ওই বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়তে শুরু করেছে।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে যমুনা পানি উজানের প্রবেশের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জামালপুরের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পদির্শন করেছেন। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি দল ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে বাঁধের ভাঙন প্রতিরোধে সেখানে বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানি বাজার থেকে ইসলামপুর উপজেলা হয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন পর্যন্ত ৪৫৫ কোটি টাকার ব্যয়ে গত বছর সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ শেষ করেছে। সেই বাঁধের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়াঘাট ও বাজার এলাকায় ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে সিসি ব্লকে ধ্বস নামে। যমুনা নদীর পানির প্রবল  স্রোতে বাঁধের প্রায় ১০ মিটার স্থান জুড়ে সিসি ব্লক নদীগর্ভে দেবে গেছে।

উলিয়া পাইলিং ঘাট ও বাজার এলাকার এলাকার নূরনবী, সুলতান, আব্দুর রউফসহ আরো অনেকেই জানান, বাঁধের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় এবং পরবর্তীতে বাঁধের কাছে থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিনের পর দিনে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণেই বাঁধটি আজ হুমকির মুখে পড়েছে। তারা আরো জানান, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধ না করা হলে স্থানীয় উলিয়া বাজারসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ জমিজমা ও জনবসতি যমুনা নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্ক রয়েছে।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, উলিয়া বাজারের পেছনের বাঁধের ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরাও সেখানে বালির বস্তার ডাম্পিং কাজ শুরু করেছে।

এ প্রসঙ্গে জামালপুর পানি উন্নয়নের বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, উলিয়া বাজারের পেছনে বাঁধ রক্ষায় বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেছি। আশা করা যায় ভাঙন রোধ হবে। এ নিয়ে স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।