ইসলামপুরে মুক্তিযোদ্ধা গফুর প্রধানকে মারধর

আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর প্রধান। ঢাকায় যাওয়ার আগে জামালপুর সদর হাসপাতাল থেকে তোলা ছবি। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর॥
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় আব্দুল গফুর প্রধান নামের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তিনি ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় ইসলামপুর সদর ইউপির গঙ্গাপাড়া গ্রামে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে রাজাকারের সন্তান এবং রাজাকারের সন্তানদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলেন। এর জের ধরে ১ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁর ওপর এ হামলা হয়। তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের গঙ্গাপাড়া গ্রামে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর প্রধানের সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়াউল হক জিয়া। সভায় সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর প্রধান ইসলাপুরের চিহ্নিত রাজাকার ও তৎকালীন পিস কমিটির নেতা মতিউর রহমান চৌধুরীর নাতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান চৌধুরী শাহীনসহ রাজাকার পরিবারের সন্তান ও বিএনপি-জামাতের লোকজনদের প্রতিষ্ঠিত করার অভিযোগ তুলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলালের বিরুদ্ধে। সংসদ সদস্যকেও তিনি রাজাকারের সন্তান বলে উল্লেখ করেন।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী শাহীনের সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ১ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গঙ্গাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা গফুর প্রধানের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর প্রধান চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘শোক সভায় রাজাকার পরিবারের সন্তানদের পুনর্বাসনের কথা বলার জের ধরেই শাহীনের সমর্থক আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী শাহীন অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘এটা সিম্পুল ঘটনা।‘ এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো.ফরিদুল হক খান দুলাল চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বা আমার দলের লোকজনদের রাজাকারের সন্তান বলে কটাক্ষ করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে কোনো ঘটনা ঘটাতেই পারে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাকে হেয় করার জন্য একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে।’