আলোর পথে আনার প্রচেষ্টা দক্ষিণ মালিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়কে

দক্ষিণ মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ। ছবি : মমিনুল ইসলাম কিসমত

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী॥
শিক্ষার্থী অনুপস্থিতি ও শিক্ষক সঙ্কট নিরসন করে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে অন্ধকারের পথ থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

জানা গেছে, দক্ষিণ মালিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণহারে শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ও শিক্ষক সঙ্কট নিয়ে ‘অন্ধকারের পথে দক্ষিণ মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ শিরোনামে বাংলার চিঠি ডটকমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলামের নির্দেশে ২৯ জুলাই সরিষাবাড়ী উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে বিদ্যালয়ের ১১৩ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত পান মাত্র ২৬ জন। একই সাথে বিভিন্ন সমস্যার প্রমাণ পান। এর প্রেক্ষিতে গত ৩১ জুলাই ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলামকে প্রাথমিক শিক্ষা বিধিমালা উপবৃত্তি-৫ ধারা অনুযায়ী কেন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বাতিল করা হবে না এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গণহারে অনুপস্থিতি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হালিম।

এদিকে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনাসহ বিদ্যালয়টিকে সচল রাখতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে ৫ আগস্ট বেলা ১২টায় ওই বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবক সমাবেশে ৪৫ জন অভিভাবক অংশ নেন এবং ৮০ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিল। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হালিম, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম রেজা তরফদারসহ স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি বিদ্যালয়টি সচল রাখতে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করেন। সমাবেশে উপস্থিত অভিভাবকরা তাদের সন্তানরা এখন থেকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবে বলে কথা দেন।

দক্ষিণ মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম ওই বিদ্যালয় প্রসঙ্গে বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, দক্ষিণ মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নিয়মিত পরিদর্শন করছি আমরা। ৫ আগস্ট অভিভাবক সমাবেশে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠাবে বলে কথা দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কটের বিষয়টিও অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই সমাধান করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম কালের বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ওই বিদ্যালয়টিকে যাতে সচল রাখা যায় সেজন্য কাজ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা গুরুত্ব সহকারে ওই বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।