ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে প্রয়াত যুবদলনেতা বুলবুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত ৯ ঘন্টা পর অপহৃতা বন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার ঐতিহ্য বিএনপি ও শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় দুই নেতার সুস্থতা কামনায় জামালপুরে দোয়া মাহফিল জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিসিকে স্মারকলিপি মেলান্দহে পুষ্টি সমন্বয় কিমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর প্রধান শিক্ষক পলাতক সরিষাবাড়ীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন, উদ্ধার করল পুলিশ

বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট পলাশ নিহত, স্বজনদের মাঝে শোক

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট পলাশ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট পলাশ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী॥
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট এনায়েত কবির পলাশের গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের মাঝে বিরাজ করছে শোকের ছায়া। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃতী সন্তান ছিলেন বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার এনায়েত কবির। ১ জুলাই রাতে কে-৮ ডব্লিউ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যশোরের বুকভরা বাঁওড়ে তিনি ও অপর পাইলট সিরাজুল ইসলাম নিহত হন।

২ জুলাই দুপুরে কৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পুরো গ্রামজুড়ে শোক বিরাজ করছে। মোড়ে মোড়ে লোকজন জটলা বেঁধে পাইলট পলাশের মেধা ও দক্ষতার প্রশংসা করে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। অনেকের চোখে পানি পড়তে দেখা গেছে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকায় রওনা দেন। ২ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টায় গ্রামবাসী তাঁর মৃত্যুতে গায়েবানা জানাযা নামাজের আয়োজন করেছে।

নিহত পাইলট পলাশের মামা চিকিৎসক আবু তাহের জানান, তিনভাই ও একবোনের মধ্যে পলাশ সবার বড়। তার বাবা চিকিৎসক শফি উদ্দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পলাশ ১৯৯৭ সালে জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৯৯ সালে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ২০০০ সালে ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট হিসেবে বিমানবাহিনীতে যোগদানের পর ২০০২ সালে ৪৬তম ব্যাচে কমিশনড লাভ করেন। পাঁচ বছর আগে তিনি রাজবাড়িতে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী নায়ান কবির নীতি পেশায় চিকিৎসক। তাদের তারিশা কবির নামে তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

তার চাচা হায়দার আলী জানান, পলাশ ছোট থেকেই মেধাবী ও ভদ্র ছিলেন। এলাকার সবাই তাকে আদর ও সমীহ করতেন।

ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রতন বলেন, তার অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকা জুড়ে দুঃখ বিরাজ করছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড

বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট পলাশ নিহত, স্বজনদের মাঝে শোক

আপডেট সময় ০১:১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুলাই ২০১৮
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট পলাশ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী॥
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট এনায়েত কবির পলাশের গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের মাঝে বিরাজ করছে শোকের ছায়া। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃতী সন্তান ছিলেন বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার এনায়েত কবির। ১ জুলাই রাতে কে-৮ ডব্লিউ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যশোরের বুকভরা বাঁওড়ে তিনি ও অপর পাইলট সিরাজুল ইসলাম নিহত হন।

২ জুলাই দুপুরে কৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পুরো গ্রামজুড়ে শোক বিরাজ করছে। মোড়ে মোড়ে লোকজন জটলা বেঁধে পাইলট পলাশের মেধা ও দক্ষতার প্রশংসা করে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। অনেকের চোখে পানি পড়তে দেখা গেছে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকায় রওনা দেন। ২ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টায় গ্রামবাসী তাঁর মৃত্যুতে গায়েবানা জানাযা নামাজের আয়োজন করেছে।

নিহত পাইলট পলাশের মামা চিকিৎসক আবু তাহের জানান, তিনভাই ও একবোনের মধ্যে পলাশ সবার বড়। তার বাবা চিকিৎসক শফি উদ্দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পলাশ ১৯৯৭ সালে জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৯৯ সালে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ২০০০ সালে ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট হিসেবে বিমানবাহিনীতে যোগদানের পর ২০০২ সালে ৪৬তম ব্যাচে কমিশনড লাভ করেন। পাঁচ বছর আগে তিনি রাজবাড়িতে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী নায়ান কবির নীতি পেশায় চিকিৎসক। তাদের তারিশা কবির নামে তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

তার চাচা হায়দার আলী জানান, পলাশ ছোট থেকেই মেধাবী ও ভদ্র ছিলেন। এলাকার সবাই তাকে আদর ও সমীহ করতেন।

ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রতন বলেন, তার অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকা জুড়ে দুঃখ বিরাজ করছে।