বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ডক্টর ছামিউল হক ফারুকী বলেছেন, যারা হোন্ডা আর গুন্ডা দিয়ে মাস্তানি করে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তা বন্ধ হবে। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের মূল্যায়ন হবে।
১৫ অক্টোবর, বুধবার দুপুরে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন হতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ। ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও বিচারের মুখোমুখি করা গণমানুষের দাবি। এই ৫ দফা বাস্তবায়িত হলে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আপনারা জুলাই আন্দোলনের সরকার। সুতরাং জুলাইয়ের চেতনার বাইরে আপনারা যেতে পারেন না। যদি যান তাহলে জুলাই আন্দোলনের সাথে গাদ্দারি করা হবে। এই গাদ্দারি দেশের জনগণ মেনে নেবে না। তাই আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে।
ডক্টর ছামিউল হক ফারুকী বলেন, যারা গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে করতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। কারণ, গণভোটে জুলাই সনদ পাস হয়ে গেলে জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আসবে। নতুন ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে তারা ভোট চুরি করতে পারবে না। কেন্দ্র দখল করতে পারবে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হয়ে গেলে তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। এজন্য তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ঠেকাতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার সেক্রেটারি আইনজীবী আব্দুল আওয়াল, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল হক জামালী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আইনজীবী ছামিউল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জেলা শাখার সভাপতি আইনজীবী আছিমুল ইসলাম, সদর উপজেলা শাখার আমীর শরিফুল ইসলাম, শহর শাখার প্রশিক্ষণ সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জিয়াউল কবির, মেলান্দহ উপজেলা শাখার আমীর ইদ্রিস আলী, ইসলামপুর উপজেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহমান ওমর প্রমুখ। এতে সঞ্চালনায় ছিলেন জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ।
মানববন্ধনে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।