ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন শেরপুরে পাখি শিকারির কারাদন্ড বকশীগঞ্জে বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে ইউএনও, দিলেন দিকনির্দেশনা টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন : শেরপুরে লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৮৩ হাজার শিশু ইসলামপুর উন্নয়ন কমিটির অর্থায়নে আনজুমান বেগমের দেহে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন মাদারগঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত মাদারগঞ্জে ছাগল ও চেক বিতরণ বিশ্ব ডাক দিবস আজ : লাল ডাকবাক্সে নেই চিঠি, স্মৃতি ডাকপিয়নের ঘণ্টাধ্বনি বকশীগঞ্জে মাদকব্যবসায়ী ছিনতাই, দুই পুলিশ আহত, আটক ৪

প্রফেসর ইউনূস সরকার প্রধান হওয়ায় ভারত বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে পারেনি : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

শেরপুর : জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: মো. মুগনিউর রহমান মনি

আমার বাংলাদেশ পাটি- এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব যদি অন্য কারো উপর পরতো তাহলে ভারত এবং আওয়ামী লীগ আমাদেরকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে দিতো। ভারত যে পরিমাণ মিস ইনফরমেশন, ডিজ ইনফরমেশন, বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা, মাইনোরিটি নির্যাতনের নাটকের গল্প দেখিয়েছে আমরা বাইরের দেশের কাছে খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়তাম। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস থাকাতে সারা বিশ্বকে এই গাল গল্প বিশ্বাস করাতে পারে নাই। এটা আমাদের বড় একটা ইতিবাচক জায়গা। ওনার মতো একজন বৈশ্বিক ব্যক্তিত্বকে আমরা আমাদের সরকারের সম্মুখ ভাগে পেয়েছি।

তিনি ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকালে শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে যেখানে রেখে গেছে সেখানে দেশে দুর্ভিক্ষ হবার কথা, গৃহযুদ্ধ হবার কথা। কিন্তু দেশে কিছু হয়নি। এটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় অবদান। তারা দুর্ভোগ ও দুর্ভিক্ষ থেকে দেশকে বাঁচিয়েছে। তাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। এটা তারা করার চেষ্টা করছে। এতে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু পেরে উঠছে না। কারণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে এতো রাজনীতিকরণ করা হয়েছে এবং এতো আওয়ামী লীগের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বাতিলও করা যাচ্ছে না আবার কাজেও লাগানো যাচ্ছে না। তবুও সব ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

এছাড়াও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে যে নাজুক অবস্থায় রেখে গেছে এটা আমাদের ইতিহাসে কখনো হয়নি। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ চলা অবস্থায় আমাদের রাষ্ট্র এভাবে ভেঙে পড়ে নাই। রাষ্ট্র কাঠামো, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এই লেভেলে ভেঙে পড়ে নাই। অর্থনীতি খালি হয়ে গেছে। ট্রেজারি বেতন দিতে পারছে না। এতো দিন অর্থনীতির যে গাল গল্প বলা হয়েছিল তা ছিলো মিথ্যা গল্প।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলার আহ্বায়ক শাহজাহান মল্লিক, শেরপুর জেলার সদস্য সচিব মো. মুক্সিতুর রহমান, এবি পার্টির সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, জামালপুর পৌরসভার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান বুলবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান, জামালপুর এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শিহাব ইসলাম, শেরপুর জেলা যুব পার্টির আহ্বায়ক এস এম শাহাদাত হোসেন শিবলু ও যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার

প্রফেসর ইউনূস সরকার প্রধান হওয়ায় ভারত বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে পারেনি : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আপডেট সময় ০৮:৫২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আমার বাংলাদেশ পাটি- এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব যদি অন্য কারো উপর পরতো তাহলে ভারত এবং আওয়ামী লীগ আমাদেরকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে দিতো। ভারত যে পরিমাণ মিস ইনফরমেশন, ডিজ ইনফরমেশন, বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা, মাইনোরিটি নির্যাতনের নাটকের গল্প দেখিয়েছে আমরা বাইরের দেশের কাছে খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়তাম। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস থাকাতে সারা বিশ্বকে এই গাল গল্প বিশ্বাস করাতে পারে নাই। এটা আমাদের বড় একটা ইতিবাচক জায়গা। ওনার মতো একজন বৈশ্বিক ব্যক্তিত্বকে আমরা আমাদের সরকারের সম্মুখ ভাগে পেয়েছি।

তিনি ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকালে শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে যেখানে রেখে গেছে সেখানে দেশে দুর্ভিক্ষ হবার কথা, গৃহযুদ্ধ হবার কথা। কিন্তু দেশে কিছু হয়নি। এটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় অবদান। তারা দুর্ভোগ ও দুর্ভিক্ষ থেকে দেশকে বাঁচিয়েছে। তাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। এটা তারা করার চেষ্টা করছে। এতে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু পেরে উঠছে না। কারণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে এতো রাজনীতিকরণ করা হয়েছে এবং এতো আওয়ামী লীগের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বাতিলও করা যাচ্ছে না আবার কাজেও লাগানো যাচ্ছে না। তবুও সব ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

এছাড়াও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে যে নাজুক অবস্থায় রেখে গেছে এটা আমাদের ইতিহাসে কখনো হয়নি। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ চলা অবস্থায় আমাদের রাষ্ট্র এভাবে ভেঙে পড়ে নাই। রাষ্ট্র কাঠামো, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এই লেভেলে ভেঙে পড়ে নাই। অর্থনীতি খালি হয়ে গেছে। ট্রেজারি বেতন দিতে পারছে না। এতো দিন অর্থনীতির যে গাল গল্প বলা হয়েছিল তা ছিলো মিথ্যা গল্প।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলার আহ্বায়ক শাহজাহান মল্লিক, শেরপুর জেলার সদস্য সচিব মো. মুক্সিতুর রহমান, এবি পার্টির সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, জামালপুর পৌরসভার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান বুলবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান, জামালপুর এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শিহাব ইসলাম, শেরপুর জেলা যুব পার্টির আহ্বায়ক এস এম শাহাদাত হোসেন শিবলু ও যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী প্রমুখ।