জামালপুরে উন্নয়ন সংঘ সিডস কর্মসূচির উদ্যোগে দিনব্যাপীনানা কর্মসূচির মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উন্নযন সংঘ সিডস প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালেয় তিনটি ব্রিজ স্কুল এবং সিডস কর্মসূচির আওতাভুক্ত ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় শোভযাত্রা, শিশুদের চিত্রাংকন, খেলাধুলা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

উৎসবমুখর পরিবেশে বিজয় শোভাযাত্রায় শিশু শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, শিক্ষক এবং জনসংগঠনের সদস্যগণ অংশ নেন। ৫২০ জন প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী, ৪২ জন ব্রিজ স্কুলের শিক্ষার্থী, ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ২০৩ জন কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছাড়াও ১৭০ জন পুরষ এবং ৪০৩ জন নারী শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
জামালপুর সদর উপজেলায় বিজয় শোভাযাত্রা শেষে দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. সাজু মিয়া এবং জনসংগঠনের সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন। দিশারি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটির সদস্য নাজমা বেগম, বিউটি বেগম এবং তাহমিনা আক্তার। বালুয়াটা সেতুবন্ধন ব্রিজ স্কুলের আলোচনা সভায় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন আব্দুল মান্নান, নাজমা বেগম, সমাপ্তি খাতুন। হাসিল গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবসের অনুসঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী আসাদ এবং ডেংগারগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবু যোহানুর আহমেদ।

খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ জামালপুর সদর উপজেলার সাতটি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১৪০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ব্রিজ স্কুলের ১৫ জনকে ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারের মধ্যে ছিল খাতা, পেনসিল, পেনসিল বক্স, ইরেজার, কলম, বাটি, মগ, থালা ও বাটি। সিডস প্রকল্পের আওতাভুক্ত জামালপুর সদর উপজেলার ১৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি পালনের জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন আকন্দপাড়া কোফাজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন রশীদ, নয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নাহার, ভাতখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজুল আলম, সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, এডহক কমিটির সদস্য, সিএমসি, বিএসএমসির সদসবৃন্দ।

খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ১০টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। চর হাতিভাঙ্গা ব্রিজ স্কুলের ১৫ জনকে ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কৃত কর হয়। সিডস প্রকল্পের আওতাভুক্ত দেওয়ানগঞ্জের ১২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি পালনের জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়।
ইসলামপুর উপজেলায় আদর্শগ্রাম ব্রিজ স্কুলে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন সমাজসেবক গফুর আলী এবং সাদ্দাম হোসেন, কমিটির সদস্য, এসআরজ ‘র সভাপতি ফারজানা। পলবান্দা ইউনিয়নে বাহাদুরপুর প্রি-স্কুলে আলোচনায় করেন তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, এম এ হান্নান এবং আওলাদ হোসেন, সমাজসেবক মোমিনুল, সহকারী শিক্ষক তাসলিমা বেগম। এছাড়া সভার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নাহিদা পারভীন, সহকারী শিক্ষক সাহানা বেগম ও ইউপি মেম্বার মনোয়ার হোসেন ও মনজু আরা বেগম, সমাজসেবক হানি শেখ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ ইসলামপুর উপজেলায় নয়টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১৮০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। আদর্শগ্রাম ব্রিজ স্কুলের ১৫ জনকে ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। সিডস প্রকল্পের আওতাভুক্ত ইসলামপুর উপজেলার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি পালনের জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়।
দিবসটি পালনে উপজেলাপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন ইসলাম উপজেলার উপজেলা সমন্বয়কারী মো. রবিউল এমরান, হামিদুল ইসলাম ও মো. কামাল হোসেন এবং সার্ক তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করে মো. সায়েদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার (শিক্ষা) উন্নয়ন সংঘ, সিডস প্রকল্প। স্ট্রমি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর অর্থায়নে উন্নয়ন সংঘ দিবসটি পালন করেছে।
জেলাপর্যায়ে উন্নয়ন সংঘের প্রধান কার্যালয়ের উদ্যোগে শোভাযাত্রা শহীদ স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে সংস্থার জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম 


















