জামালপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেছেন, আজকে সারা পৃথিবীর মুসলমানদের যে অবস্থা, আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অবস্থা। শিক্ষার যে অবস্থা। এই অবস্থা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটাতে হবে। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার একনিষ্ঠ পুত্র, আমাদের নেতা, জাতির নেতা, ১৮ কোটি মানুষের আত্মার আত্মীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোন বিকল্প নেই। তাকেই এই মুহূর্তে দরকার।
১৪ জুন, শনিবার রাতে জামালপুর শহরের সকাল বাজারে জামালপুর জেলা বিএনপির তৃণমূলপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের ব্যানারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানকে দ্রুততম সময়ে দেশে প্রত্যাবর্তন এবং তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লণ্ডনে যুগান্তকারী বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসারি দেখেই বুঝেছি যে তাদের মধ্যে আলোচনা সফল হয়েছে। বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশে যে লুটপাট হয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সব সংস্কার করে চলেছেন। তিনি অত্যন্ত মেধাসম্পন্ন ভালো বুঝেন। কিন্তু তার একার পক্ষে দীর্ঘদিনের জঞ্জাল শেষ করা যাবে না। তিনি যে মেরাথন সংস্কার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছেন। এই মেরাথন সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সবাইকে সাথে নিয়েই তা শেষ করতে হবে।
শামীম আহমেদ আরও বলেন, লণ্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের আলোচনা শেষে দু’জনকেই বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখতে পেয়েছি। আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। তাই এই মুহূর্তে তারেক রহমানকে শুধু আমাদের নেতা বললে ভুল হবে। শুধু বিএনপি নেতা বললে ভুল হবে। বাংলাদেশ রক্ষায়, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষায় ১৮ কোটি মানুষের আত্মার আত্মীয় তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে ৩১ দফা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যেই সকল সংস্কার লিপিবদ্ধ রয়েছে। আগামী দিনের বাংলাদেশ কি হবে। তার সবকিছুই ৩১ দফায় রয়েছে। আমাদের বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে, মিডিয়ার সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির সামনে তা অনেক আগেই তুলে ধরা হয়েছে।
তারেক রহমানের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে শামীম আহমেদ বলেন, আজকে যদি তারেক রহমান দেশে আসেন। বর্তমান সরকারকে অনেক ভেবেচিন্তে তারেক রহমানের নিরাপত্তা দিতে হবে। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন সফল নেতা ছিলেন। সফল রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সৎ নেতা ছিলেন। সারা পৃথিবীর মুসলমানদের একনিষ্ঠ নেতা ছিলেন। ইরান-ইরাকের যুদ্ধ থামাতেও তিনি সফল ভূমিকা রাখেন।
শামীম আহমেদ আরও বলেন, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে যারা ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের প্রতি নজর রেখে আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নিরাপত্তার দিকে অবশ্যই বর্তমান সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করতে চাই। তারেক রহমানের নিরাপত্তার খাতিরে কোন ছলচাতুরি চলবে। তাকে অবশ্যই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে হবে। তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। জানি না কত যে লোক হবে তাকে দেখতে। এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মো. নজরুল ইসলাম খান ও এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে অনুরোধ করছি। তারা যেন তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে কথা বলে যেন তারেক রহমানের নিরাপত্তার আগাম সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
জামালপুর শহর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান জিলানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণ চন্দ্র মন্ডল ও শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্ববায়ক এনাম উদ দৌলাহ সিদ্দিকী।
এ সময় কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য ইতি রানী সরকার, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সভাপতি এ কে এম নওশাদ হোসেন শাহীন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সালাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুবনেতা খায়রুল ইসলাম লিয়ন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাগর ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রানা ম্যানশনসহ জেলা বিএনপির তৃণমূলের সকল অঙ্গদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।