শেরপুরের নকলা উপজেলায় স্বামী মোজাম্মেলকে বাজার আনতে পাঠিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্ত্রী সুমি আক্তার (২৭)। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা এলাকার চরঅষ্টধর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সুমি ও তার স্বামী মোজাম্মেল স্থানীয় একটি বেকারিতে কাজ করতেন। কোন জায়গা জমি না থাকায় চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কোয়ার্টারে থাকতেন। গত দু’দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভোগছিলেন সুমি আক্তার। ৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে সুমি আক্তার তার স্বামী মোজাম্মেলকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আনতে বাজারে পাঠান।
সন্ধ্যায় বাড়িতে বাজার নিয়ে বাসায় গিয়ে সুমি আক্তারকে ডাকাডাকি করলে কোন সাড়া শব্দ পাননি। পরে ঘরে ঢুকে দেখেন ঘরের একটি কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন সুমি আক্তার। পরে পুলিশকে জানানো হলে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে সুমি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় নকলা থানা পুলিশ।

নকলার চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রহিম এ প্রতিবেদককে বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা এলাকার চরঅষ্টধর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে সুমি আক্তার নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কোন কারণ জানা যায়নি। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নকলা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ উল্লাহ রাব্বি এ প্রতিবেদককে বলেন, চরঅষ্টধর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের যে কোয়ার্টারে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে সেটা দীর্ঘদিন ধরে সরকারিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের কোন নিরাপত্তা প্রহরী নেই। তাই পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে লোকজনের আনাগোনা আমাদের দেখার বিষয় না।