জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় ২৩টি সমবায় সমিতির প্রায় ৩০ হাজার আমানতকারীর সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
৪ ফেব্রুয়ারি সকালে দুই হাজারের অধিক আমানতকারীরা মাদারগঞ্জ পৌর এলাকার বালিজুড়ী বাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ইউএনও এবং এসিল্যান্ড কেউই তাদের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে আমানত রাখা অর্থ উদ্ধারের জন্য সহায়ক কমিটির ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী রাজু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান মোখলেস, চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার, সিপিবির মাদারগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান, চরগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহাবুব আলম রতন, আব্দুর রহিম সোনা মোল্লা, কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিফযুল বারী বকুল, সমিতিতে টাকা রেখে প্রতারিত আমানতকারী আছমা বেগম প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ইউএনও তার কার্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অর্থ উদ্ধার কমিটির আহবায়ক শিবলুল বারী রাজু বলেন, টানা পাঁচ ঘন্টা প্রতারিত আমানতকারীরা ইউএনও কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু ইউএনও ও এসিল্যান্ড তাদের অফিস খালি করে দিয়ে চলে গেছেন।

তিনি বলেন, আগামী সাতদিনের মধ্যে যদি সমিতির মালিক পক্ষকে গ্রেপ্তার এবং গ্রাহকদের মুখমুখি না করা হয়, তাহলে সাতদিন পরে ইউএনও সাহেব আপনাকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। আপনি জনতার আন্দোলন দেখেন নাই। জনতার বেদনা বুঝেন নাই। জনতার সমস্যা কিভাবে সমাধান করতে হয় তার চিন্তা করেন নাই।
তিনি ইউএনওকে উদ্দেশ্য করে বলেন, টানা ৫-৬ ঘণ্টা ধরে প্রতারিত আমানতকারীরা আপনার কার্যালয়ের সামনে অভুক্ত অবস্থায় অবস্থান করলেও তাদেরকে পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এই যে তাদের কষ্ট, এই কষ্ট যদি উপলব্ধি করতে না পারেন, আপনাকে আর সম্মান করার জায়গা থাকবে না।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে আমানতকারীরা অবস্থান করলেও নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে মাদারগঞ্জের ইউএনও নাদির শাহ বলেন, অফিসিয়াল প্রোগ্রামে জামালপুরে ছিলাম। তাছাড়া এটা দেখার দায়িত্ব সমবায় দপ্তরের। তারা বিষয়টি দেখবে।