ভালোবাসার মানুষকে জীবন সঙ্গী করতে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে প্রেমের টানে শেরপুরে এলেন ২৭ বছর বয়সী মুন্সীগঞ্জের তরুণী বিভা রাজবংশী। শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী কামারবাড়ি এলাকার হযরত আলীর ছেলে শিপন আহমেদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছেন ওই তরুণী।
জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কামারবাড়ি এলাকার শিপন আহমেদ ফেসবুকে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর গ্রামের শংকর রাজবংশীর মেয়ে বিভা রাজবংশীর সঙ্গে পরিচয়ের পর দু’জনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দু’জনের মধ্যে দেখা এবং অর্থ-লেনদেন হয়। সম্পর্কের প্রায় এক বছর গড়ালে প্রেমের টানে বিভা রাজবংশী ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে ভাতশালা ইউনিয়নের কামারবাড়ি এলাকায় শিপন আহমেদের কাছে ছুটে আসেন।
বিভা রাজবংশী হিন্দু ধর্মের হওয়ায় ছেলের পরিবার মেনে না নিয়ে তাকে মারধর করে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। বিভা রাজবংশীকে অটোরিকশায় করে নিয়ে যাওয়ার পথে ভাতশালা এলাকায় দু’জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা গ্রামের লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় একটি বাড়িতে তাদেরকে আটক রাখে। পরে এলাকাবাসী ওই তরুণীকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে আট লাখ টাকার কাবিনে ও মেয়ের নামে জমি লিখে দেওয়ার সম্মতিক্রমে তাদেরকে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
শেরপুর নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বিভা রাজবংশী থেকে মরিয়ম নামে এফিডেভিড করে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। পরে স্থানীয় কাজী অফিসে তাদের দু’জনের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
বিভা রাজবংশী বলেন, প্রায় বছরখানেক আগে ফেসবুকে শিপন আহমেদের সাথে পরিচয় হয়। পরে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার সাথে। তাকে বিয়ে করার জন্যই বাড়ি থেকে চলে আসছি। আমরা সংসার করতে চাই।
শিপন আহমেদ বলেন, বিভা রাজবংশীর সাথে পরিচয় হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। আমরা দু’জন দুজনকে পছন্দ করি। বিভা রাজবংশী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তার নাম রাখা হয়েছে মরিয়ম। আমি তাকে জীবন সঙ্গী হিসেবে মেনে নিয়েছি।
৭ নম্বর ভাতশালা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা ওই তরুণীকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এসে ইউনিয়ন পরিষদে সকলের উপস্থিতি ও মতামতের ভিত্তিতে আট লাখ টাকার কাবিন ও তার নামে জমি লিখে দেওয়ার স্বীকারোক্তিতে তাদেরকে বিয়ে দেওয়া হয়।