ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন শেরপুরে পাখি শিকারির কারাদন্ড বকশীগঞ্জে বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে ইউএনও, দিলেন দিকনির্দেশনা টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন : শেরপুরে লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৮৩ হাজার শিশু ইসলামপুর উন্নয়ন কমিটির অর্থায়নে আনজুমান বেগমের দেহে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন মাদারগঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত মাদারগঞ্জে ছাগল ও চেক বিতরণ বিশ্ব ডাক দিবস আজ : লাল ডাকবাক্সে নেই চিঠি, স্মৃতি ডাকপিয়নের ঘণ্টাধ্বনি বকশীগঞ্জে মাদকব্যবসায়ী ছিনতাই, দুই পুলিশ আহত, আটক ৪

বিশ্বব্যাপী ৮৫ শতাংশ সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তি অবসানের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কো সকল দেশকে ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে দায়মুক্তির হার ছয় বছরে মাত্র ৪ পয়েন্ট কমেছে। এর মানে বিশ্বব্যাপী ৮৫ শতাংশ সাংবাদিক হত্যার মামলা অমীমাংসিত থেকে গেছে।

ইউনেস্কো সাংবাদিকরা সত্যের সন্ধানে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকেন উল্লেখ করে তাদের সুরক্ষা অপরিহার্য বলে মত দিয়েছে।

জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো শনিবার এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত দুই বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। এই দুই বছরে ১৬২ সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মানে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনটিতে সাংবাদিকদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধিকে ‘আশঙ্কাজনক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলায় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০২২ ও ২০২৩ সাল সত্য অনুসন্ধানে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়।’

তিনি দেশগুলোকে ‘এ অপরাধগুলো যাতে বিচারহীন থেকে না যায়, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি কিছু করার’ আহ্বান জানান।’

তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ঠেকাতে অপরাধীদের বিচার ও সাজাদান একটি বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।

ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে বলা হয়, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই দুই বছরে সেখানে ৬১ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রাণ হারান। অপরদিকে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপে সবচেয়ে কম সংখ্যক সাংবাদিক প্রাণ হারান। অঞ্চল দুটিতে এই দুই বছর ছয় সাংবাদিক প্রাণ হারান।

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, ২০১৭ সালের পর ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ফের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে অধিকাংশ সংবাদকর্মী প্রাণ হারান। ২০২৩ সালে ওই অঞ্চলগুলোতে ৪৪ জন সাংবাদিক প্রাণ হারান, যা ওই বছরের মোট নিহতের ৫৯ শতাংশ।

২০২২-২৩ সালে ১৪ নারী সাংবাদিক প্রাণ হারান, মোট নিহত সাংবাদিকদের নয় শতাংশ। যেখানে কমপক্ষে পাঁচজন ছিল ১৫-২৪ বছর বয়সের মধ্যে।

পৃথক দেশ থেকে নিহতদের প্রতিক্রিয়া অনুসারে সাংবাদিকদের প্রায় সব হত্যাকা-ই অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ২০০৬ সাল থেকে ইউনেস্কো চিহ্নিত ৮৫ শতাংশ মামলা এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে বা পরিত্যক্ত হয়েছে।

এটি ২০১৮ সালে ৮৯ শতাংশ ‘নন-রেজোলিউশন’ হার এবং ২০১২ সালে ৯৫ শতাংশ থেকে কিছুটা উন্নতি।

কিন্তু ৭৫টি দেশের মধ্যে ইউনেস্কো দায়েরকৃত মামলার আপডেটের জন্য যোগাযোগ করে ১৭টির কাছ থেকে কোনো সাড়া পায়নি এবং নয়টি দেশ তাদের আবেদন গ্রহণ করা ছাড়া আর কিছু করেনি।

এমনকি ২১০টি মামলায়, যেখানে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হয়েছে, তাতেও সময় লেগেছে অন্তত চার বছর।

রিপোর্টে ‘বিচার বিলম্বিত করা মানে বিচার অস্বীকার করা’ বলে উল্লেখ করা হয়।

ইউনেস্কো সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তির বিরুদ্ধে বার্ষিক প্রচার-প্রচারণা চালায়।

সংস্থাটি চলতি বছরের ৬ নভেম্বর ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের সাথে সংকট ও জরুরি পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপর একটি বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজন করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার

বিশ্বব্যাপী ৮৫ শতাংশ সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না

আপডেট সময় ০৫:৪৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তি অবসানের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কো সকল দেশকে ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে দায়মুক্তির হার ছয় বছরে মাত্র ৪ পয়েন্ট কমেছে। এর মানে বিশ্বব্যাপী ৮৫ শতাংশ সাংবাদিক হত্যার মামলা অমীমাংসিত থেকে গেছে।

ইউনেস্কো সাংবাদিকরা সত্যের সন্ধানে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকেন উল্লেখ করে তাদের সুরক্ষা অপরিহার্য বলে মত দিয়েছে।

জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো শনিবার এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত দুই বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। এই দুই বছরে ১৬২ সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মানে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনটিতে সাংবাদিকদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধিকে ‘আশঙ্কাজনক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলায় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০২২ ও ২০২৩ সাল সত্য অনুসন্ধানে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়।’

তিনি দেশগুলোকে ‘এ অপরাধগুলো যাতে বিচারহীন থেকে না যায়, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি কিছু করার’ আহ্বান জানান।’

তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ঠেকাতে অপরাধীদের বিচার ও সাজাদান একটি বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।

ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে বলা হয়, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই দুই বছরে সেখানে ৬১ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রাণ হারান। অপরদিকে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপে সবচেয়ে কম সংখ্যক সাংবাদিক প্রাণ হারান। অঞ্চল দুটিতে এই দুই বছর ছয় সাংবাদিক প্রাণ হারান।

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, ২০১৭ সালের পর ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ফের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে অধিকাংশ সংবাদকর্মী প্রাণ হারান। ২০২৩ সালে ওই অঞ্চলগুলোতে ৪৪ জন সাংবাদিক প্রাণ হারান, যা ওই বছরের মোট নিহতের ৫৯ শতাংশ।

২০২২-২৩ সালে ১৪ নারী সাংবাদিক প্রাণ হারান, মোট নিহত সাংবাদিকদের নয় শতাংশ। যেখানে কমপক্ষে পাঁচজন ছিল ১৫-২৪ বছর বয়সের মধ্যে।

পৃথক দেশ থেকে নিহতদের প্রতিক্রিয়া অনুসারে সাংবাদিকদের প্রায় সব হত্যাকা-ই অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ২০০৬ সাল থেকে ইউনেস্কো চিহ্নিত ৮৫ শতাংশ মামলা এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে বা পরিত্যক্ত হয়েছে।

এটি ২০১৮ সালে ৮৯ শতাংশ ‘নন-রেজোলিউশন’ হার এবং ২০১২ সালে ৯৫ শতাংশ থেকে কিছুটা উন্নতি।

কিন্তু ৭৫টি দেশের মধ্যে ইউনেস্কো দায়েরকৃত মামলার আপডেটের জন্য যোগাযোগ করে ১৭টির কাছ থেকে কোনো সাড়া পায়নি এবং নয়টি দেশ তাদের আবেদন গ্রহণ করা ছাড়া আর কিছু করেনি।

এমনকি ২১০টি মামলায়, যেখানে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হয়েছে, তাতেও সময় লেগেছে অন্তত চার বছর।

রিপোর্টে ‘বিচার বিলম্বিত করা মানে বিচার অস্বীকার করা’ বলে উল্লেখ করা হয়।

ইউনেস্কো সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তির বিরুদ্ধে বার্ষিক প্রচার-প্রচারণা চালায়।

সংস্থাটি চলতি বছরের ৬ নভেম্বর ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের সাথে সংকট ও জরুরি পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপর একটি বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজন করছে।