বর্তমান মানসিকতা ধরে রাখতে পারলে চলতি বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারত অপরাজিত থেকেই শিরোপা জয় করতে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইকনিক ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস।
অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের মতো ক্রিকেট জায়ান্টদের মোকাবেলা করার পরও ভারত এই টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে টিম ইন্ডিয়া । এখন ট্রফি জয় থেকে মাত্র দুই ম্যাচে দূরে রয়েছে স্বাগতিক দল। আর বর্তমান মানষিকতা ধরে রাখতে পারলে তারাই শিরোপা জয় করতে পারবে বলে মনে করেন ভিভ রিচার্ডস।’
আইসিসি’র ওয়বসাইটে এক কলামে রিচার্ডস লিখেছেন,‘ এবারের আসরে ভারত মানসিকতা হচ্ছে পুরো টুর্নামেন্টেই এভাবে খেলবে। আমি তাদের ড্রেসিং রুমে থাকলে সকল উপায় ব্যবহার করে তাদের এভাবেই এগিয়ে নিতাম। পদ্ধতিটি এখনো পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই কাজ করছে। এর পরিবর্তন ঘটলে হিতেবিপরীত হতে পারে।’
ক্যারিবীয় কিংবদন্তী বলেন,‘ আমার বিশ্বাস তারা (ভারত) অপরাজিত থেকেই শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হবে। এটি সত্যিকারার্থে চেস্টা করার একটি বিষয়। সেখানে ‘এখন আমরা ভালো করছি, সেমিফাইনালে বাজে খেলা হতে পারে’- এমন আশঙ্কাও থাকতে পারে। এ ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে যে কোন ভাবেই তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
রিচার্ডস বলেন, মানসিক শক্তি এমন একটি বিষয় যা বিরাট কোহলির সাফল্যে দারুন অবদান রাখছে। এটি তাকে দুর্দান্ত স্কোরার ও রেকর্ড নির্মাতায় পরিণত করেছে।
টুর্নামেন্টে কোহলির অসাধারণ রানের প্রত্যক্ষ সাক্ষী রিচার্ডস ভারতীয় এই তারকা ব্যাটারের প্রশংসাও করেছেন তিনি।
আইসিসি কলামে রিচার্ডস বলেন,‘ বিরাট একজন দক্ষ ক্রিকেটার। তবে অন্যদের কাছ থেকে তাকে আলাদা করেছে তার মানষিক দৃঢ়তা। তিনি সব সময় নিজেকে ধরে রেখেছেন এবং অতীতে যখন আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি তখণ তার মানসিক দৃঢ়তার বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে। যেটি তাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে গেছে। খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড় এমন দৃঢ়তা নিজের মধ্যে ধারন করে রাখতে পারেন এবং নিজেকে এভাবে গড়ে তুলতে পারেন।
অনেকেই বছরের পর বছর ধরে আমাদের দু’জনের মধ্যে তুলনা করে আসছে। এর কারণ মাঠের ভেতর আমাদের ব্যাটিং দৃঢ়তা। আমি বিরাটের সাহসিকতা পছন্দ করি। এমনকি লং অন ও লং অফে ফিল্ডিং করার সময়ও তার বোলারদের একজন যদি প্রতিপক্ষের ব্যাটারের প্যাডে বল দিয়ে আঘাত করেন তখনো তাকে দেখা যায় আপীল করতে। তিনি সব সময় খেলার মধ্যে থাকেন এবং আমি সব সময় এমন ব্যক্তিদের পছন্দ করি।’
বাংলার চিঠি ডেস্ক : 










