ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত নকলা : জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ টাকা হাওলাত দিতে অস্বীকার করায় সরিষাবাড়ীতে দুলাভাইকে পিটিয়েছে দুই শ্যালকে শেরপুরের বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ঢাকায় গ্রেপ্তার মেলান্দহে কৃষক সুরুজ্জামানের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ কলেজশিক্ষক সুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে জামালপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপিত ভারতে মহানবী (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে ইসলামপুরে বিক্ষোভ মিছিল ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে বিক্ষোভ

দেওয়ানগঞ্জে এলজিইডির রাস্তা মেরামতের ফলে বদলে গেছে জীবন যাত্রার মান!

দেওয়ানগঞ্জে এলজিইডির মেরামতকৃত রাস্তা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

দেওয়ানগঞ্জে এলজিইডির মেরামতকৃত রাস্তা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ জিসি হতে সানন্দবাড়ী জিসি ভায়া তারাটিয়া রাস্তাটি এলজিইডির মাধ্যমে প্রশাস্তকরণসহ মেরামতের ফলে লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। উপজেলার উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। বদলে গেছে গ্রামীণ আর্থ সামাজিক ব্যবস্থায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ভয়াবহ বন্যায় দেওয়ানগঞ্জ-ঝালর চর রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় ১০ দশমিক ৬ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তাটি ৮০ শতাংশ খানা খন্দ ও ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়। রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন এবং বাস, ট্রাকসহ অটোরিকশা ও অটোভ্যান, মোটরসাইকেল চালানো খুবই কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। সানন্দবাড়ী থেকে উপজেলা শহরে আসতে যেখানে সময় লাগত ২ ঘণ্টা, এখন সময় লাগে ১ ঘণ্টা।

এর আগে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। উত্তরাঞ্চলের মানুষ উপজেলা পরিষদ বা উপজেলা শহরে গিয়ে সরকারি দপ্তরগুলোতে সেবা নিতে যাওয়া সেবাপ্রার্থীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। কৃষকদের উৎপাদিত কষ্টার্জিত ফসল বাজারজাত করতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হত। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে উৎপাদিত ফসল গুলো মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করতে হত।

উপজেলাবাসী মানুষের এই দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে (এলজিইডি), দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহর হতে ঝালর চর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দেওয়ানগঞ্জ এলজিইডির সার্বিক তত্ত¡াবধানে ১০ কোটি ১২ লাখ ৪৯ হাজার ১৮১ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যে মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতী) প্রকল্পের আওতায় ১০ দশমিক ৬ কি.মি রাস্তাটি পুনর্বাসন করা হয়। এই রাস্তাটি পুনর্বাসনের পর পাল্টে গেছে এলাকার জীবনযাত্রার মান। দুর্ভোগ লাঘব হয়ে মানুষের মধ্যে আশার আলো সঞ্চয় হয়েছে। কর্মজীবী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীরা অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারেন এবং কৃষকরা খুব সহজেই সব ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে তাদের ফসলগুলো হাট-বাজারে নিতে পারেন। ফলে মানুষের যেমন লাঘব হয়েছে দুর্ভোগ, তেমনি আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

দেওয়নগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. তোফায়েল আহামেদ জানান, দেওয়ানগঞ্জ-ডাংধরা সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেওয়ানগঞ্জ থেকে উত্তর বঙ্গের সাথে যেগাযোগের একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটি দেওয়ানগঞ্জ থেকে তারাটিয়া পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার। এর মধ্য পৌর শহর থেকে ঝালোরবাজার পর্যন্ত ১০ দশমিক ৬ কিলোমিটার রাস্তা ইতিমধ্যে প্রশস্তকরণসহ সংষ্কার করা হয়েছে, ঝালোর বাজার থেকে তারাটিয়া বাজার পর্যন্ত অবশিষ্ট ১০ দশমিক ৪ কিলোমিটার সড়ক এফআরইএপি প্রকল্পের আওতায় প্রশস্তকরণসহ প্রয়োজনীয় মেরামতের লক্ষে প্রাক্কলন প্রকিয়াধীন রয়েছে যা অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা

দেওয়ানগঞ্জে এলজিইডির রাস্তা মেরামতের ফলে বদলে গেছে জীবন যাত্রার মান!

আপডেট সময় ১০:৪৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
দেওয়ানগঞ্জে এলজিইডির মেরামতকৃত রাস্তা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ জিসি হতে সানন্দবাড়ী জিসি ভায়া তারাটিয়া রাস্তাটি এলজিইডির মাধ্যমে প্রশাস্তকরণসহ মেরামতের ফলে লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। উপজেলার উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। বদলে গেছে গ্রামীণ আর্থ সামাজিক ব্যবস্থায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ভয়াবহ বন্যায় দেওয়ানগঞ্জ-ঝালর চর রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় ১০ দশমিক ৬ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তাটি ৮০ শতাংশ খানা খন্দ ও ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়। রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন এবং বাস, ট্রাকসহ অটোরিকশা ও অটোভ্যান, মোটরসাইকেল চালানো খুবই কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। সানন্দবাড়ী থেকে উপজেলা শহরে আসতে যেখানে সময় লাগত ২ ঘণ্টা, এখন সময় লাগে ১ ঘণ্টা।

এর আগে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। উত্তরাঞ্চলের মানুষ উপজেলা পরিষদ বা উপজেলা শহরে গিয়ে সরকারি দপ্তরগুলোতে সেবা নিতে যাওয়া সেবাপ্রার্থীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। কৃষকদের উৎপাদিত কষ্টার্জিত ফসল বাজারজাত করতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হত। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে উৎপাদিত ফসল গুলো মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করতে হত।

উপজেলাবাসী মানুষের এই দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে (এলজিইডি), দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহর হতে ঝালর চর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দেওয়ানগঞ্জ এলজিইডির সার্বিক তত্ত¡াবধানে ১০ কোটি ১২ লাখ ৪৯ হাজার ১৮১ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যে মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতী) প্রকল্পের আওতায় ১০ দশমিক ৬ কি.মি রাস্তাটি পুনর্বাসন করা হয়। এই রাস্তাটি পুনর্বাসনের পর পাল্টে গেছে এলাকার জীবনযাত্রার মান। দুর্ভোগ লাঘব হয়ে মানুষের মধ্যে আশার আলো সঞ্চয় হয়েছে। কর্মজীবী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীরা অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারেন এবং কৃষকরা খুব সহজেই সব ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে তাদের ফসলগুলো হাট-বাজারে নিতে পারেন। ফলে মানুষের যেমন লাঘব হয়েছে দুর্ভোগ, তেমনি আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

দেওয়নগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. তোফায়েল আহামেদ জানান, দেওয়ানগঞ্জ-ডাংধরা সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেওয়ানগঞ্জ থেকে উত্তর বঙ্গের সাথে যেগাযোগের একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটি দেওয়ানগঞ্জ থেকে তারাটিয়া পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার। এর মধ্য পৌর শহর থেকে ঝালোরবাজার পর্যন্ত ১০ দশমিক ৬ কিলোমিটার রাস্তা ইতিমধ্যে প্রশস্তকরণসহ সংষ্কার করা হয়েছে, ঝালোর বাজার থেকে তারাটিয়া বাজার পর্যন্ত অবশিষ্ট ১০ দশমিক ৪ কিলোমিটার সড়ক এফআরইএপি প্রকল্পের আওতায় প্রশস্তকরণসহ প্রয়োজনীয় মেরামতের লক্ষে প্রাক্কলন প্রকিয়াধীন রয়েছে যা অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।