ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন শেরপুরে পাখি শিকারির কারাদন্ড বকশীগঞ্জে বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে ইউএনও, দিলেন দিকনির্দেশনা টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন : শেরপুরে লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৮৩ হাজার শিশু ইসলামপুর উন্নয়ন কমিটির অর্থায়নে আনজুমান বেগমের দেহে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন মাদারগঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত মাদারগঞ্জে ছাগল ও চেক বিতরণ বিশ্ব ডাক দিবস আজ : লাল ডাকবাক্সে নেই চিঠি, স্মৃতি ডাকপিয়নের ঘণ্টাধ্বনি বকশীগঞ্জে মাদকব্যবসায়ী ছিনতাই, দুই পুলিশ আহত, আটক ৪

বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে নিউজিল্যান্ডে ৫০ হাজার শিক্ষকের ধর্মঘট

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডে ১৬ মার্চ প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক ধর্মঘট পালন করেছেন। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ইউনিয়নের আলোচনার পর তারা এ ধর্মঘটের ডাক দেন। খবর এএফপি’র।

খবরে বলা হয়, শিক্ষকরা তাদের ধর্মঘট কর্মসূচি পালনকালে ভাল বেতন-ভাতার দাবি জানান। এ সময় শিক্ষকরা তাদের ‘দাঁতের চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই’ এমন লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড তুলে ধরেন এবং নাড়ান। দেশব্যাপী একদিনের ধর্মঘটে কিন্ডারগার্টেনের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো অংশ নেওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

ট্রেড ইউনিয়ন তাদের যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, সরকারের সর্বশেষ বেতন প্রস্তাব মুদ্রাস্ফীতির সাথে মেলে না এবং শিক্ষক সংকটের কারণে দেশের শিক্ষা খাত ‘সঙ্কটের মুখে’ পড়েছে।

পোস্ট প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ক্রিস অ্যাবারক্রম্বি বলেন, ‘মানমসম্মত শিক্ষা হচ্ছে মানুষের একটি মৌলিক অধিকার।’

‘দু:খজনকভাবে শিক্ষক হিসেবে আমরা সেই অধিকারটিকে ধীরে ধীরে এবং নিশ্চিতভাবে অবমূল্যায়ন করতে দেখছি।’

তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্টাফ রাখতে এবং স্নাতক ডিগ্রিধারীদের এ পেশায় আনতে শিক্ষকদের বেতন এবং কাজের অবস্থার উন্নতি অপরিহার্য।

নিউজিল্যান্ড এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট মার্ক পটার বলেছেন, শিক্ষকরা ‘সরকারের কাছে একটা বার্তা পাঠাতে চায় যে, আমরা শিক্ষা খাতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তা কতটা গুরুত্বসহকারে দেখছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সকলেই আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরাটা চাই কিন্তু পদ্ধতির পরিবর্তন ছাড়া এক্ষেত্রে আমরা তাদের কিছু দিতে পারি না।’

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী জ্যান টিনেটি বলেন, তিনি শিক্ষকদের ধর্মঘট দেখে হতাশ হন এবং এই বিরোধ দ্রুত সমাধান করতে চান।

জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের বিষয়টি নিউজিল্যান্ডে একটি প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে। দেশটির এমন পরিস্থিতিতে সরকার মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার

বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে নিউজিল্যান্ডে ৫০ হাজার শিক্ষকের ধর্মঘট

আপডেট সময় ০৩:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডে ১৬ মার্চ প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক ধর্মঘট পালন করেছেন। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ইউনিয়নের আলোচনার পর তারা এ ধর্মঘটের ডাক দেন। খবর এএফপি’র।

খবরে বলা হয়, শিক্ষকরা তাদের ধর্মঘট কর্মসূচি পালনকালে ভাল বেতন-ভাতার দাবি জানান। এ সময় শিক্ষকরা তাদের ‘দাঁতের চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই’ এমন লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড তুলে ধরেন এবং নাড়ান। দেশব্যাপী একদিনের ধর্মঘটে কিন্ডারগার্টেনের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো অংশ নেওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

ট্রেড ইউনিয়ন তাদের যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, সরকারের সর্বশেষ বেতন প্রস্তাব মুদ্রাস্ফীতির সাথে মেলে না এবং শিক্ষক সংকটের কারণে দেশের শিক্ষা খাত ‘সঙ্কটের মুখে’ পড়েছে।

পোস্ট প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ক্রিস অ্যাবারক্রম্বি বলেন, ‘মানমসম্মত শিক্ষা হচ্ছে মানুষের একটি মৌলিক অধিকার।’

‘দু:খজনকভাবে শিক্ষক হিসেবে আমরা সেই অধিকারটিকে ধীরে ধীরে এবং নিশ্চিতভাবে অবমূল্যায়ন করতে দেখছি।’

তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্টাফ রাখতে এবং স্নাতক ডিগ্রিধারীদের এ পেশায় আনতে শিক্ষকদের বেতন এবং কাজের অবস্থার উন্নতি অপরিহার্য।

নিউজিল্যান্ড এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট মার্ক পটার বলেছেন, শিক্ষকরা ‘সরকারের কাছে একটা বার্তা পাঠাতে চায় যে, আমরা শিক্ষা খাতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তা কতটা গুরুত্বসহকারে দেখছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সকলেই আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরাটা চাই কিন্তু পদ্ধতির পরিবর্তন ছাড়া এক্ষেত্রে আমরা তাদের কিছু দিতে পারি না।’

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী জ্যান টিনেটি বলেন, তিনি শিক্ষকদের ধর্মঘট দেখে হতাশ হন এবং এই বিরোধ দ্রুত সমাধান করতে চান।

জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের বিষয়টি নিউজিল্যান্ডে একটি প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে। দেশটির এমন পরিস্থিতিতে সরকার মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে।