শেরপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মকবুল হোসেন লাল। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অপরাধে মকবুল হোসেন ওরফে লাল (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। সেই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একই ঘটনায় তার মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মকবুল হোসেন ওরফে লাল সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে নুরুন্নাহারের। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে নির্যাতন শুরু করেন মকবুল হোসেন। একপর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এর পর মুখে বিষ ঢেলে তার মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান মকবুল।

গোলাম কিবরিয়া বুলু আরও জানান, ঘটনার পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার দিনই মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ২ নভেম্বর মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শরীফ হোসেন।

ওই মামলায় বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।