মেলান্দহে বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মী পুলিশের গাড়িতে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের মেলান্দহে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২৮ নভেম্বর রাতে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। একই দিন পুলিশ পাঁচজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৯ নভেম্বর দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, ২৮ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শাহাজাদপুর এলাকায় মেলান্দহ পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম রেনু তার বাড়ির পূর্ব পাশে ফাঁকা জায়গায় বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে মেলান্দহ পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম রেনু, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল আজিজ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. নবীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সামিউল ইসলাম ও মো. ছামিদুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৮ নভেম্বর রাতে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটক ওই পাঁচজন এবং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শ্যামল তালুকদার ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মুকুলসহ ৩০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৮ নভেম্বর বিকেলে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নৈরাজ্য নাশকতার সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং মেলান্দহ উপজেলা খাদ্যগুদামে অগ্নিসংযোগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা মেলান্দহের শাহাজাদপুরে একত্রিত হয়েছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ ২৯ নভেম্বর জামালপুর আদালতের মাধ্যমে আটক ওই পাঁচজন নেতাকর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজন আসামিকে ২৯ নভেম্বর জামালপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানিমূলক মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়েরের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।