শেরপুরের বনাঞ্চল থেকে হাতির মরদেহ উদ্ধার

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুরের বনাঞ্চল ঘেরা ঝিনাইগাতীর পাহাড় থেকে একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন কর্তৃপক্ষ। ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের ভারত সীমানা ঘেঁষা গজনী বিটের আঠারো ঝোড়া নামক এলাকা থেকে ওই হাতিটির মরদেহ উদ্ধার।

বন বিভাগ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১১০২ নম্বর পিলারের কাছে গজনী বিটের আঠারো ঝোড়া নামক এলাকার কয়েকজন রাখাল একটি বন্য হাতির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা এ বিষয়টি স্থানীয় বন বিভাগকে অবহিত করে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিটের কর্মকর্তা ও বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।

এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন, সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ, থানা পুলিশের উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান, বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

উদ্ধার তৎপরতা চলাকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, মৃত হাতিটির দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হাতিটি মাদি জাতের। তার বয়স অনুমানিক ৭-৮ বছর।

খাদ্যে বিষক্রিয়া জনিত কারণে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন জানিয়ে সাদিয়া আফরিন জানান, হাতিটির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন ল্যাব পরীক্ষার মাধ্যমে এর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, এলাকাটি গভীর অরণ্য হওয়ায় ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হাতিটির বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাতিটির মরদেহ উদ্ধার শেষে ময়নাতদন্তের পর ঘটনাস্থলের পাশেই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হবে।

এদিকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কর্মীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই সাথে হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত করে এর মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করার জোর দাবি জানিয়েছে।