ক্রমেই স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ ক্রমেই স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে। যতই ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। ইতোমধ্যেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিপর্যয় ঠেকাতে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিঘা খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে পর্যটকদের। খবর: আনন্দবাজার পত্রিকার

২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিঘাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হোটেলগুলোকে নতুন করে বুকিং নিতে নিষেধ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এখনও যে সব পর্যটক দিঘায় আছেন তাদের দ্রুত হোটেল ত্যাগ করে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি বলেন, ‘পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নজর এড়িয়ে সমুদ্রে নেমে যাতে কারও জীবনহানি না হয় তারই আগাম সতর্কতা হিসেবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দিঘা জুড়ে মাইকে প্রচার করে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে।’

ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এজন্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার সামুদ্রিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার রাত ৯টায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় গুলাবে পরিণত হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।