শ্রীবরদীতে ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনায় ১৪৫ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ২

হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী সদস্যদের ওপর একটি সংঘবদ্ধ চক্রের হামলার ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১২৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার বারারচর গ্রামের মৃত আব্দুর রেজ্জাকের ছেলে মনিরুজ্জামান (৩০) ও জালাল উদ্দিনের ছেলে শহীদ মিয়াকে (২৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

এর আগে ৪ আগস্ট রাতে শ্রীবরদীর ইউএনও অফিসের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে একই দিন রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

৫ আগস্ট বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শ্রীবরদী থানা পুলিশের ওসি বিল্পব কুমার বিশ্বাস।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রগুলো জানায়, ৪ আগস্ট দুপুরে চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। ওই দিন কয়েকজন দোকান মালিক লকডাউন বিধি ভঙ্গ করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জরিমানা করে। এ সময় ওই বাজারে তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী লিটন মিয়া আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে অশালীন আচরণ করে। পরে বিজিবির এক সদস্য তাকে (লিটন) ধাক্কা দিলে সে মাটিতে পড়ে যায়।

এ ঘটনা নিয়ে লিটন মিয়ার ভাই বিগন মাইকিং করে বাজারে লোকজন জড়ো করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের ছুড়ে দেওয়া ইট, পাটকেলের আঘাতে আহত হন বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়ান সদস্য রবিউল ইসলাম, সবুজ মিয়া, পুলিশের এএসআই আজহারুল হক, কনস্টেবল জান্নাত মিয়া, আদালতের পেশকারসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় ভাংচুর করা হয় একটি সরকারি গাড়ি।

এ প্রসঙ্গে ঝগড়ারচর বাজারের বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমাছ আলী ৫ আগস্ট বিকালে বলেন, লিটনের ভাই বিগন মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে মাইকিং করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা করে। এটি অন্যায় কাজ হয়েছে বলে তিনি জানান।

শ্রীবরদী হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. জুলফিকার সাইফ জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম পাওয়া গেছে। তাদেরকে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে।

অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান হাবিব।