ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর ঐক্লান্তিক প্রচেষ্ঠায় ইসলামপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে স্বস্থিতে লাখো মানুষ

ইসলামপুর উপজেলার যমুনার তীরবর্তী নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া থেকে কাঠমা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপির ঐক্লান্তিক প্রচেষ্ঠায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনার তীরবর্তী নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া থেকে কাঠমা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে স্বস্থিতে রয়েছে উপজেলার লাখো মানুষ।

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনা চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলী জমিতে পানি ঢুকতে শুরু করলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধটি নির্মাণে স্বস্থি পাবে পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৪০টি গ্রামে মানুষ ।

অকাল বন্যার পানি থেকে বাঁচার রক্ষা কবজ হরিণধার বাঁধটি ভাঙনে বিলিন হয়েছে। ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যমুনা নদী থেকে বাধাহীনভাবে নেমে আসা পানির নিচে অকাল বন্যায় তলিয়ে যায় উপজেলার নোয়ারপাড়া, সদর, কুলকান্দি, বেলগাছা ও চিনাডুুলি ইউনিয়ন সমুহের নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার একর ফসলি জমি। বন্যার পানির সাথে বালি ওঠে এসে প্রতিবছরই যমুনা তীরবর্তী এলাকার শতশত একর ফসলি জমি বালি পড়ে অনাবাদী হয়ে যায়।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুরবাসীর দুভোর্গ লাঘবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপির ঐক্লান্তিক প্রচেষ্ঠায় যমুনার তীরবর্তী নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া থেকে কাঠমা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী (কাবিখা) বরাদ্দ থেকে ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উলিয়া থেকে কাঠমা পর্যন্ত সড়ক ঘেঁষে প্রতিরক্ষা বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পশ্চিমাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষকে দীর্ঘদিন পানিবন্দি দশা থেকে বাঁচানোর বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

ইসলামপুর উপজেলার যমুনার তীরবর্তী নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া থেকে কাঠমা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবছরই যমুনা তীরবর্তী ইউনিয়নের অধিকাংশ পাকা ও কাঁচা সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বন্যায় অসংখ্য বাড়িঘর ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট, লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে বাড়িঘর। মেরামত করতে না করতেই আবারও বন্যা এসে পূর্বের অবস্থা দেখা দেয়। এতে যমুনা তীরের মানুষগুলোর দুর্ভোগ যেন লেগেই থাকে।

যমুনার তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধটি হওয়ায় এবারের বন্যায় যমুনা নদী থেকে বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবাহিত হতে পারবেনা আশা করি। এতে করে পশ্চিম ইসলামপুর প্রায় ৪০টি গ্রামসহ রাস্তাঘাট ভাঙ্গন রোধ হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, উলিয়া থেকে কাঠমা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এই বাঁধ নির্মাণে ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে যতটুকু বরাদ্দ রয়েছে তা বাঁধের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। পানি বৃদ্ধি পেলেও বাঁধ হওয়ায় পশ্চিমাঞ্চলের গ্রামগুলো মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে আসবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, বন্যা মৌসুমের পানিবন্দি দশা থেকে রক্ষার পেতে উলিয়া থেকে কাঠমা পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধটি জরুরী ছিল। জনস্বার্থে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের ঐক্লান্তিক প্রচেষ্ঠায় বরাদ্দের মাধ্যমে এই বাঁধটির নির্মাণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি জানান, বন্যা মৌসুমে ইসলামপুর উপজেলাবাসীকে পানিবন্দি দশা থেকে রক্ষার জন্য যমুনার তীরবর্তী নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া থেকে কাঠমা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার একটি উঁচু বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছিল। বাঁধটি হওয়ায় পানি ভেদ করতে না পারলেই মানুষের দুর্দশা লাঘব হবে।