ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষকে রক্তের বন্ধনের শুভেচ্ছা রিডার্স ক্লাবের নিয়মিত পাঠচক্র অনুষ্ঠিত নকলায় চরাঞ্চলের কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষ করে স্বাবলম্বী মাদারগঞ্জে বিধবা ইয়াসমিনের পাশে দাঁড়াল যুবদল, দিচ্ছে নতুন ঘর নিলাখিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তনের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ শেরপুরে ঘর-বাড়ি উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেরপুরে সালমান শাহ্ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শেরপুরে তিনটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন বাবার উত্তরসূরীরা সরিষাবাড়ী হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড , ডাক্তারের দূরদর্শিতায় প্রাণে বাঁচল প্রসূতি, নবজাতক

চীনে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিশেষজ্ঞ দলের সফরের সময়ে চীনের মাঞ্চুরিয়া অঞ্চলে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ার খবর পাওয়া গেল৷ লকডাউনসহ একাধিক কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে৷ খবর ডয়চে ভেলের।

বিশ্বের অনেক দেশই দেশ করোনা সংকটের ধাক্কা একবার সামলাতে পেরেও সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি৷ চীনেই প্রথম বড় আকারে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর সে দেশ কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্ভ্রম আদায় করেছে৷

কিন্তু এবার দেশের উত্তর পূর্বে মাঞ্চুরিয়া অঞ্চলের হেইলংজিয়াং প্রদেশে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ আপাতত দৈনিক প্রায় ৪৩ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়লেও পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির আশঙ্কায় সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে৷

হেবেই প্রদেশেও সংক্রমণ বাড়ছে৷ ফলে প্রায় দুই কোটি আশি লাখ মানুষ কড়া লকডাউনের মধ্যে রয়েছেন৷ মূলত গ্রামাঞ্চলে এমন কড়া পদক্ষেপ কার্যকর করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে৷

বিশেষ করে নববর্ষের জাতীয় ছুটির মৌসুমের ঠিক আগে এমন সংকট সামলানো কঠিন হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কোটি কোটি মানুষ এ সময়ে ভ্রমণের তোড়জোড় করছেন৷ কিছু প্রদেশের কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে৷ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে চীনের গত প্রায় দশ মাসের সাফল্য হুমকির মুখে পড়তে পারে৷

এমন এক সময়ে চীনে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের দল করোনা মহামারির উৎস সন্ধানে উহান শহরে এসেছেন৷ দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন-সহ মোট এক মাস ধরে তারা সেখানে তদন্ত চালাবেন৷ চীনের বিজ্ঞানীরাও তাদের সহায়তা করবেন৷ অনেক টালবাহানার পর চীন এই প্রতিনিধিদলের যাত্রার অনুমোদন দিয়েছে৷

উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বে করোনা সংকট ছড়িয়ে পড়ার জন্য অনেক মহলে চীনকে দায়ী করা হলেও সে দেশ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ ফলে ভাইরাসের উৎস সন্ধান রাজনৈতিক পর্যায়ে স্পর্শকাতর এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে অন্য কিছু দেশে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছিল, এমন কিছু সাম্প্রতিক দাবির ভিত্তিতে চীনা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা করছে৷ বিদেশ থেকে আমদানি করা হিমায়িত পণ্যের মধ্যে ভাইরাসের চিহ্ন শনাক্ত করে চীন সেই ধারণা আরও পাকাপোক্ত করতে চাইছে৷

অন্যদিকে অনেক গবেষকের মতে, চীনের দক্ষিণে বাদুড় থেকেই কোভিড-১৯ প্রথম মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল৷

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষকে রক্তের বন্ধনের শুভেচ্ছা

চীনে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

আপডেট সময় ০৬:১৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিশেষজ্ঞ দলের সফরের সময়ে চীনের মাঞ্চুরিয়া অঞ্চলে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ার খবর পাওয়া গেল৷ লকডাউনসহ একাধিক কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে৷ খবর ডয়চে ভেলের।

বিশ্বের অনেক দেশই দেশ করোনা সংকটের ধাক্কা একবার সামলাতে পেরেও সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি৷ চীনেই প্রথম বড় আকারে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর সে দেশ কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্ভ্রম আদায় করেছে৷

কিন্তু এবার দেশের উত্তর পূর্বে মাঞ্চুরিয়া অঞ্চলের হেইলংজিয়াং প্রদেশে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ আপাতত দৈনিক প্রায় ৪৩ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়লেও পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির আশঙ্কায় সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে৷

হেবেই প্রদেশেও সংক্রমণ বাড়ছে৷ ফলে প্রায় দুই কোটি আশি লাখ মানুষ কড়া লকডাউনের মধ্যে রয়েছেন৷ মূলত গ্রামাঞ্চলে এমন কড়া পদক্ষেপ কার্যকর করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে৷

বিশেষ করে নববর্ষের জাতীয় ছুটির মৌসুমের ঠিক আগে এমন সংকট সামলানো কঠিন হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কোটি কোটি মানুষ এ সময়ে ভ্রমণের তোড়জোড় করছেন৷ কিছু প্রদেশের কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে৷ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে চীনের গত প্রায় দশ মাসের সাফল্য হুমকির মুখে পড়তে পারে৷

এমন এক সময়ে চীনে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের দল করোনা মহামারির উৎস সন্ধানে উহান শহরে এসেছেন৷ দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন-সহ মোট এক মাস ধরে তারা সেখানে তদন্ত চালাবেন৷ চীনের বিজ্ঞানীরাও তাদের সহায়তা করবেন৷ অনেক টালবাহানার পর চীন এই প্রতিনিধিদলের যাত্রার অনুমোদন দিয়েছে৷

উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বে করোনা সংকট ছড়িয়ে পড়ার জন্য অনেক মহলে চীনকে দায়ী করা হলেও সে দেশ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ ফলে ভাইরাসের উৎস সন্ধান রাজনৈতিক পর্যায়ে স্পর্শকাতর এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে অন্য কিছু দেশে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছিল, এমন কিছু সাম্প্রতিক দাবির ভিত্তিতে চীনা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা করছে৷ বিদেশ থেকে আমদানি করা হিমায়িত পণ্যের মধ্যে ভাইরাসের চিহ্ন শনাক্ত করে চীন সেই ধারণা আরও পাকাপোক্ত করতে চাইছে৷

অন্যদিকে অনেক গবেষকের মতে, চীনের দক্ষিণে বাদুড় থেকেই কোভিড-১৯ প্রথম মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল৷