নিখোঁজ ৩ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার যমুনা নদী থেকে

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় জুয়ার আসরে সংঘর্ষের ঘটনার পর যমুনা নদীতে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৯ নভেম্বর সকালে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার বাসীদকল চর নলিনবাজার ও জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বাশুরিয়া এলাকার যমুনা নদীর তীর থেকে তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।

যমুনা নদী থেকে উদ্ধার মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু (৪০), পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের গোপালপুুর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মৃত জমসের খাঁনের ছেলে হাফিজুর রহমান খাঁন (৪৫) ও ভুয়াপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের আব্দুল বারেক মন্ডলের ছেলে ফজল মিয়া (৪০)।

এদিকে জুয়ায় আসর সম্পর্কে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই ইউনুস আলী ও কনস্টেবল মনির উদ্দিনকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় জামালপুর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের চর বাশুরিয়া এলাকার যমুনা নদীতে ২৬ নভেম্বর রাতে জুয়ার আসর বসে। জুয়ার আসরে আধিপত্য বিস্তার ও টাকার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে জুয়ারিদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন জুয়ারি আহত হয়। এদেরমধ্যে ঘটনাস্থলেই তিন জুয়ারি গভীর যমুনা নদীতে নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজের তিনদিন পর ওই ৩ ব্যক্তির লাশ যমুনা নদীর পৃথক দুই স্থানে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তের ইনচার্জ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, নিখোঁজ হওয়া তিন ব্যক্তির লাশ যমুনা নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল।