জামালপুর সদর হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন উদ্বোধন করলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ফিতাকেটে জামালপুর সদর হাসপাতালের সিটিস্ক্যান মেশিন উদ্বোধন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলাবাসীর নিখুঁত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২৫০ শয্যার জামালপুর সদর হাসপাতালে স্থাপন করা হলো প্রায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান মেশিন। ২৭ নভেম্বর সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সিটি স্ক্যান মেশিন উদ্বোধন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান এমপি।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপিকে সাথে নিয়ে ২৭ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের রেডিওলোজি ও ইমেজিং বিভাগে নামফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে সিটি স্ক্যান মেশিন উদ্বোধন করেন।

পরে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের হলরুমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান জামালপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ে এই প্রথম অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান মেশিন চালু করা হলো। এই সিটি স্ক্যান মেশিনের সাহায্যে এখন থেকে নিখুঁতভাবে সকল প্রকার রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে জামালপুর জেলার ২৬ লাখ মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার এক যুগান্তকারী সুযোগ সৃষ্টি হলো।

জামালপুর সদর হাসপাতালের সিটিস্ক্যান মেশিন উদ্বোধনী নামফলক উন্মোচন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান। ছবি : মাহমুদুল হাসান মুক্তা

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এর আগে এই সেবাটি ঢাকা বা ময়মনসিংহ ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যদি সঠিক সেবাটা না পায় তাহলে কিন্তু আমাদের সকল চেষ্টাই ব্যর্থতায় পর্যবশিত হবে। আধুনিক এ মেশিনটি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন এর সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করার অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেন, জামালপুর এক সময় দরিদ্রতম জেলা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জেলার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা এই পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই জেলায় শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়েছে। এই কলেজের ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ কাজও চলমান রয়েছে। একই সাথে ২৫০ শয্যার জামালপুর সদর হাসপাতালটিকেও আরো আধুনিক চিকিৎসাসেবার উপযোগী করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই হাসপাতালে আজকে একটি অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান মেশিন চালু করা হলো। এই সিটি স্ক্যান মেশিনের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এই সিটি স্ক্যান মেশিন উপহার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তিনিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

করোনা পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটি স্ক্যান মেশিন উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় অন্যান্যের মধ্যে জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক চিকিৎসক মো. মোশায়ের উল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন চিকিৎসক কে এম শফিকুজ্জামান, জামালপুর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান প্রমুখসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।