হাজী সেলিমের ছেলে আটক

মোহাম্মদ ইরফান সেলিম

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : রাজধানী ঢাকার কলাবাগান এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে আটক করা হয়েছে। ২৬ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, “আমাদের টিমের সদস্যরা হাজী সেলিমের ছেলেকে হেফাজতে নিয়েছে।” এর আগে গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২৫ অক্টোবর রাতে ধানমণ্ডি এলাকায় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় ২৬ অক্টোবর একটি মামলা হয়। মামলায় ইরফান সেলিম ছাড়াও হাজি সেলিমের প্রোটকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ ভোরে মামলাটি এন্ট্রি করা হয়। মামলায় বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর, জখম ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মারধরের শিকার নোবাহিনীর ওই কর্মকর্তা হলেন মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান। তিনি লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার।

মামলা হওয়ার পরপরই গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে বলে ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী জানান।

ঘটনার বিবরণে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, “লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী ধাক্কা সামলে মোটরসাইকেল থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ওই গাড়ি থেকে জাহিদ, দিপু এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে নেমে আসে এবং মারধর শুরু করে। তারা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রীকে উঠিয়ে নেওয়ার এবং হত্যার হুমকি দেয়। ওই ঘটনার পরে একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোবাইল ফোনে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের বক্তব্য ধারণ করেন, যা ইতোমধ্যে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তাকে রক্তাক্ত মুখে বলতে শোনা যায়, তিনি পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মারধর করা হয়েছে, তার স্ত্রীর গায়েও হাত দিয়েছে।”