শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে সবুর উদ্দিন নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই যুবতী বাদী হয়ে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করে। ১৫ অক্টোবর বিকালে ওই মামলা দায়ের হওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতারুজ্জামান বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন।

১৬ অক্টোবর দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম জানান, জেলা পুলিশ বিভাগ এ ঘটনা অবহিত হওয়ার পর ১৪ অক্টোবর ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করে। এবং বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

অন্যদিকে আদালতের আদেশের নথিপত্র পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া বলে জানিয়েছেন পিবিআই (জামালপুর-শেরপুর) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর (এডমিন) সৈয়দ মইনুল হোসেন।

অভিযুক্ত মো. সবুর উদ্দিন শেরপুর জেলার নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতারুজ্জামান বিষয়টি পিবিআইকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মুখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, ২০১৭ সালে জেলার নালিতাবাড়ী থানায় ওই বাদীর করা একটি শ্লীলতাহানীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন উপপরিদর্শক সবুর উদ্দিন। মামলা তদন্ত করার সুবাদে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘনিষ্ঠতার এক পর্যায়ে বাদীর স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটায় সবুর। পরবর্তীতে অভিযুক্ত এই পুলিশ কর্মকর্তা ভিকটিমকে বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি ও আস্থা সৃষ্টি করে অপরিচিত দু’জন লোক নিয়ে একটি নীল কাগজে লেখালেখি করে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায়।

পরে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সবুর ওই ভিকটিমকে নিয়ে নালিতাবাড়ী পৌর শহরের উত্তর গড়কান্দা আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় কলিমউদ্দিনের বাড়ি ভাড়া নেয়। সেখানে তারা স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করতে থাকেন। এ অবস্থায় সবুর বদলি হয়ে পার্শ^বর্তী উপজেলা নকলায় চলে যান। চলতি মাসের ১ তারিখ নকলা থানায় গিয়ে বাদী ভরণপোষণ দাবি করলে সবুর ভিকটিমকে বিয়ে করেনি মর্মে সাফ জানিয়ে দেয়।

তিনি আরও জানান, সবুর উদ্দিনের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা শ্যামগঞ্জ উত্তর বাজারে। সে ওই এলাকায় আব্দুল হাই এর ছেলে।
অন্যদিকে ভিকটিমের দাবি সবুর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে।

sarkar furniture Ad
Green House Ad