শেরপুরে এক যুবক ও গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে পৃথক পৃথক স্থান থেকে এক যুবক ও এক মধ্যবয়সি গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৯ সেপ্টেম্বর সকালে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউপির ভেলুয়া পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে গলায় গামছা পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শওকত হোসেন ভেলু (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়। শওকত স্থানীয় ইন্তাজ আলীর ছেলে। অন্যদিকে নকলা উপজেলার টালকি ইউপির চরকামানীপাড় গ্রাম থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর একটি ডোবা থেকে কোহিনুর বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। কোহিনুর স্থানীয় কৃষক দুলু মিয়ার স্ত্রী ও ৪ সন্তানের জননী। এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী দুলু মিয়া পলাতক রয়েছে এবং সুজন (১৬) ও সোহান (১৪) নামে গৃহবধূর দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম ও শ্রীবরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন তালুকদার জানান, শ্রীবরদীর শওকত হোসেন ভেলু প্রায় ১৬ দিন আগে পার্শ্ববর্তী বৈষ্ণবেরচর গ্রামের পারভীন আক্তারকে বিয়ে করেন। পরে ৮ সেপ্টেম্বর শ্বশুর বাড়িতে থাকা স্ত্রীকে নিতে গেলে স্ত্রী কয়েকদিন পর আসার কথা জানালে দু’জনের মধ্যে বিবাদ হয়। এরপর শওকত নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। ৯ সেপ্টেম্বর সকালে স্বজনরা ডাকাডাকি করে তার কোন সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে শওকতকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এমন খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে প্রায় ২৫ বছর আগে নকলার চরকামানীপাড় গ্রামের দুলু মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী সাইলামপুর গ্রামের কোহিনুর বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। দুলু মিয়া প্রায়ই স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। এরই মধ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার পর থেকে নিখোঁজ হয় গৃহবধূ কোহিনুর বেগম। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। পরে ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে কোহিনুরের ছোট ছেলে সোহান চরকামানীপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা সংলগ্ন একটি ডোবায় কচুরিপানার নিচে ভাসমান অবস্থায় তার মায়ের পড়নের কাপড়ের অংশ দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজনকে জানায়। পরে খবর পেয়ে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

নকলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন শাহ জানান, এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূ কোহিনূরের স্বামী দুলু মিয়া পলাতক রয়েছে। এবং সুজন ও সোহান নামে গৃহবধূর দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।