করোনার প্রভাবে সরিষাবাড়ীর নির্জন বাসাবাড়িতে বাড়ছে চুরি

সরিষাবাড়ীতে নৌ সদস্যের বাসায় চুরির পর তছনছ করে রাখা ঘর। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় করোনাভাইরাসের ছুটিতে বাসাবাড়িগুলোতে চুরির ঘটনা ঘটছে। পৌর শহরের নির্জন এলাকার বাসায় মানুষ কম থাকায় ও অনেকেই ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ায় ছিচকে চোরের দল মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নিচ্ছে।

৩ এপ্রিল একরাতে পৌরসভার প্রধান সড়কে মোটরসাইকেল পার্টসের দোকান ও দিয়ারকৃঞ্চাই গ্রামে বাসায় চুরি হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে পৌর এলাকাতেই অন্তত ১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। চিহ্নিত কিছু মাদকাসক্ত সংঘবদ্ধ চক্র এসব চুরির সাথে জড়িত বলে ধারণা স্থানীয়দের। এ ঘটনায় থানায় একজন নৌ সদস্যের স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্র জানা যায়, পৌরসভার দিয়ারকৃঞ্চাই (টিএন্ডটি মোড়) এলাকার শামছুল হক পাঠানের বাসা ভাড়া নিয়ে বাংলাদেশ নেভিতে কর্মরত মাসুদ রানা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। করোনা আতঙ্কে ১৯ মার্চ তার পরিবার বাসা তালাবদ্ধ করে উপজেলার চর রৌহা গ্রামের বাড়িতে চলে যান। ৩ এপ্রিল রাতে ওই বাসায় তালা ভেঙে চুরি হয়। চোরের দল সাড়ে পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকাসহ প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ৪ এপ্রিল সকালে নৌ সদস্য মাসুদ রানার স্ত্রী আফরোজা আক্তার বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে মাসুদ রানা জানান, আমি করোনাভাইরাসে রাষ্ট্রীয় ডিউটিতে নিয়োজিত আছি। অথচ আমার বাসায় চুরি হলেও এখনো পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।

অপরদিকে একইরাতে পৌরসভার প্রধান সড়কে মেকানিক তোফাজ্জল হোসেনের মোটরসাইকেল পার্টসের দোকানে চুরি হয়েছে। তোফাজ্জল হোসেন জানান, তার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম এই ব্যবসা। টানা ১০ দিন ধরে দোকান বন্ধ থাকায় সব মাল চুরি হয়ে গেছে। করোনার ছুটিতে একদিকে ব্যবসা বন্ধ, অপরদিকে চুরি হওয়ায় তিনি পথে বসার উপক্রম বলে জানান।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, একটি চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কোথাও চুরি-ছিনতাই হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।